আদর্শ ও মূল্যবোধ থেকে বঙ্গবন্ধু এক পা পিছু হটেননি : প্রধান বিচারপতি

জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও অন্য বিচারপতিবৃন্দ। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জ, ঢাকা, ১৫ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও অন্য বিচারপতিবৃন্দ। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জ, ঢাকা, ১৫ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব, যাঁকে কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। এই মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ শনিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি বলে তাঁর জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ ও মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন।

দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে, উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।

প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের ৪ জন এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২৮ জন বিচারপতি বক্তব্য দেন।

ন্যায়বিচার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা সভায় তুলে ধরেন বিচারপতিরা। বিচারপতিরা বলেন, ইতিহাসের ঘৃণ্য এই হত্যার বিচার সম্পন্ন করে বিচার বিভাগ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে লালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

সভা শেষে দুই মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধান বিচারপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনবিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের জাজেস কমিটির পক্ষ থেকেও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া ও দুস্থ লোকজনের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

অ্যাটর্নি কার্যালয়ের আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উদ্যোগে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এ আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

সভায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ, আমিন উদ্দিন মানিক, বিপুল বাগমার, অমিত দাস গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

আইনজীবী সমিতির শ্রদ্ধা নিবেদন
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিনের নেতৃত্বে সমিতির সহসম্পাদক ইমতিয়াজ ফারুক ও মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া এবং সদস্য মোহাম্মদ মশিউর রহমানসহ শতাধিক আইনজীবী এ শ্রদ্ধায় অংশ নেন।