আদালতসংশ্লিষ্ট ৯১০ জন আক্রান্ত, মৃত্যু বিচারকসহ ৭ জনের

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় উচ্চ আদালতের বিচারপতি, অধস্তন আদালতের বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৯১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন এবং এক বিচারকসহ ৭ জন কর্মচারী মারা গেছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

করোনা মহামারির এই সময়ে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের মধ্যে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন বা জরুরি বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তি হচ্ছে।

এর মধ্যে গত বছরের ২৪ জুন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত আদালতসংশ্লিষ্ট ছয়জন কর্মচারী মারা গেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের দেওয়া তথ্যমতে, ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় এ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ২১ জন বিচারপতি, অধস্তন আদালতের ২৩১ জন বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের ২০০ জন কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ২১ জন বিচারপতি সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত অধস্তন আদালতের ২৩১ জন বিচারকের মধ্যে ২১৪ জন এবং সুপ্রিম কোর্টের ২০০ জন কর্মচারী সুস্থ হয়েছেন। আর অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৪৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।