আপাতত ভারতীয় পর্যটন ভিসা বন্ধই থাকছে: দোরাইস্বামী

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী
ফাইল ছবি : প্রথম আলো

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারত পর্যটন ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তবে মেডিকেল ভিসা চালু রয়েছে বলে তিনি জানান।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (আইআইএমসিএএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হাইকমিশনার। রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে প্রতিনিধিদলটি।

অনুষ্ঠানে ভিসা–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি নজরে রাখছে ভারত। যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন নতুন ধরন দেখা দিচ্ছে। তাই পর্যটন ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি এখনই ভাবছে না ভারত। কারণ, এখন পর্যটন ভিসা চালু হলে শুধু ভারত নয়, যেসব দেশের লোকজন আসবেন, সেসব দেশও সমান ঝুঁকিতে পড়বে। তবে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে মেডিকেল ভিসা চালু রয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে টিকা পাঠানোর প্রসঙ্গে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে টিকার ব্যাপারে কাজ হবে। টিকা তৈরি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির ভিত্তিতে টিকাগুলো পাঠানো হবে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বিষয়টি সমন্বয় করবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিকা পাঠানো যাবে বলে তিনি জানান।

ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ মোট তিন কোটি টিকা নিচ্ছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে ভারত। গত ২১ জানুয়ারি ভারত উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ২০ লাখ করোনার টিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে। ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকাও ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। ২২ ফেব্রুয়ারি আরও ২০–৩০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইআইএমসিএএ’র প্রতিনিধি দল
ছবি: সংগৃহীত

আইআইএমসিএএর সদস্যরা নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশনের সাবেক শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত প্রতিবছর দুজনকে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় পড়ার জন্য ভারতীয় সরকারের এ বৃত্তি দেওয়া হয়।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই বৃত্তির সংখ্যা আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন। হাইকমিশনার প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের তরুণদের সাংবাদিকতায় আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করার ওপর জোর দেন। সংগঠনের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে হাইকমিশন সহায়তা করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জোরদার সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, ভারতের কোনো মানুষ বাংলাদেশের অমঙ্গল চায় না। বাংলাদেশের মানুষেরও ভারতের প্রতি একই মনোভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

আইআইএমসিএএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া (সম্পাদক, বাংলাদেশের খবর), সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান (প্রধান বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল আই), আঙ্গুর নাহার মন্টি (যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, নিউজ২৪), কোষাধ্যক্ষ রঞ্জন সেন (প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টিভি) এবং সদস্য নাজনীন আখতার (জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রথম আলো)।

ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব (তথ্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম) শাশ্বতী আরিয়া ও দ্বিতীয় সচিব (গণমাধ্যম) দেবব্রত পাল।