আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ

ইসলামাবাদে ওআইসির জরুরি বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন, আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক আর্থসামাজিক উন্নয়ন নির্বিঘ্নে চলবে। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের সব স্তরের মানুষ দেশটির সংস্কার ও আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।

গতকাল রোববার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। আজ সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকটি ডাকা হয়।

ওআইসির জরুরি বৈঠকে মানবিক সহায়তার আওতায় আফগানিস্তানকে খাবার ও ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাবার, আশ্রয়, সামাজিক সেবার ব্যাপক সংকট থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও আঞ্চলিক শান্তির স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের ওপর জোর দেন তিনি।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, এ অঞ্চলের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।

জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য ওআইসির ভূমিকার প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রসচিব। পাশাপাশি তিনি আফগান জনগণকে সহায়তার জন্য জোট ও জোটের বাইরে সহযোগিতা বাড়াতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত শনিবার জোটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া তিনি ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন।