আমতলী থেকে যাত্রা করা লঞ্চে ছিল দ্বিগুণ যাত্রী

বরগুনার আমতলী থেকে আজ সোমবার বিকেলে ছেড়ে যাওয়ার সময় এমভি ইয়াদ নামে লঞ্চে ছিল ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী। ছবি: প্রথম আলো
বরগুনার আমতলী থেকে আজ সোমবার বিকেলে ছেড়ে যাওয়ার সময় এমভি ইয়াদ নামে লঞ্চে ছিল ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী। ছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার বরগুনার আমতলী লঞ্চঘাট থেকে এমভি ইয়াদ-১ নামে আরও একটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে লঞ্চটিতে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে যাত্রী তুলে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে আমতলী নৌবন্দর ত্যাগ করে। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলেও এমভি হাসান-হোসেন নামে একটি লঞ্চ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঢাকায় যায়।

যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, দুপুরের পর থেকেই লঞ্চঘাটে যাত্রীদরে ভিড়ে পা ফেলার জায়গা ছিল না। এরপর যাত্রীরা কে কার আগে লঞ্চে উঠতে পারে—এর প্রতিযোগিতা চলে। আড়াইটার মধ্যে লঞ্চের ডেক ও ছাদ যাত্রীতে টইটম্বুর হয়ে যায়। এরপর বেলা তিনটার দিকে লঞ্চটি ঘাট ত্যাগ করে। এরপর পুরাকাটা, আয়লা, কাঁকড়াবুনিয়া, ভয়াং, পায়রাকুঞ্জ নামে আরও পাঁচটি ঘাট দেয়। সেখান থেকেও অনেক যাত্রী তোলে। এতে লঞ্চে পা ফেলার জায়গা ছিল না।

দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকার গত ২৬ মার্চ নৌ ও সড়ক পথে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ওই সময় থেকেই গত দুই মাস পর্যন্ত নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।

আজ সকালে এমভি ইয়াদ-১ লঞ্চটি ঢাকা থেকে আমতলী আসে। এমভি ইয়াদ লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল। লঞ্চের ডেকের সামনে যাত্রী ধারণক্ষমতা লেখা রয়েছে ৭০২/৫০২ জন। ধারণক্ষমতা কত, জানতে চাইলে লঞ্চটির পরিদর্শক হালিম মিয়া কোনো সদুত্তর দিতে পরেননি। স্বাস্থ্যবিধি না মানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের চাপ সামলাতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে ঘাট ত্যাগ করেছি। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে যাত্রীদের সিট করতে বলেছি। কিন্তু তারা তা মানছে না। যে যার মত করে বসে যাচ্ছে।’

লঞ্চে থাকা আলম মিয়া ও রুবেল নামের দুজন যাত্রী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, আমতলী থেকে লঞ্চটি যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে আসার পর পটুয়াখালীর লেবুখালী পর্যন্ত মাঝখানে পুরাকাটা, আয়লা পাতাকাটা, ভয়াং, কাকড়াবুনিয়া ও পায়রাকুঞ্জু নামের পাঁচটি ঘাট দেয়। ওই সব ঘাট থেকেও আরও অন্তত ৩০০ যাত্রী তোলা হয়। মনোয়ার হোসেন নামের অপর এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারা উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে বলে ‘‘এভাবে গেলে যান, না হয় লঞ্চ থেকে নেমে যান’’।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ অনেক যাত্রী ঘাট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।