আমরণ অনশনের ঘোষণা ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে ৯০ দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর আজ বুধবার ৯১তম দিনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেন শিক্ষার্থীরা।

বেলা ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন। বক্তব্য দেন ওই বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান, আদিব হাসান, সিহাব শাহরিয়ার, হীরা খাতুন ও তাসমেরী সুলতানা।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, আন্দোলনের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করে বিভাগ পরিবর্তনের আশ্বাস দেন এবং অফিস আদেশ পাঠান। এরপর গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করেন এবং তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধান রিজেন্ট বোর্ড ছাড়া সম্ভব নয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হওয়ায় তিনি এখনো রিজেন্ট বোর্ড কল করতে পারেননি। তাই আজ থেকে তাঁরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাবেন।

ইটিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসমেরী সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসন শুধু তাঁদের দাবি মানার ক্ষেত্রেই যত সীমাবদ্ধতা দেখাচ্ছে। অথচ গত ৫ ডিসেম্বর প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি রিজেন্ট বোর্ডের সম্মতিতে ৫ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও শিবচর ক্যাম্পাসের সব ধরনের ভর্তি কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে, যা রিজেন্ট বোর্ড ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না। তাহলে ৯১ দিন ধরে আন্দোলন অব্যাহত রাখা সত্ত্বেও কেন এ প্রশাসন আমাদের সমস্যার সমাধান করছে না? বিজ্ঞপ্তি হওয়ার পরও যদি ভিসি স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনসংখ্যা কমাতে পারেন, ভর্তি ফি কমাতে পারেন, তবে আমাদের ক্ষেত্রে কেন এ উদাসীনতা? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয় আমরা ভিসি স্যারের সুস্পষ্ট বক্তব্য কামনা করছি।’

গত ১৭ অক্টোবর থেকে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায়ও অংশ নেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো ক্লাসে অংশ নেননি শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ও ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যানমো. শাহজাহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে দাবি করছে, সে দাবি পূরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা রিজেন্ট বোর্ডে বা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তা ছাড়া বিভাগ পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর সমাধান একজন রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের পক্ষে সম্ভব না।’