আমানত ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুদ্দিন আজাদ ওরফে নয়া মিয়া গ্রাহকদের জমা দেওয়া কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আমানত ফেরত পাওয়ার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বরগুনার পাথরঘাটা শহরে গ্রাহকেরা মানববন্ধন করেন।
এর আগে শামসুদ্দিন আজাদকে গ্রেপ্তার করে গ্রাহকদের টাকা আদায়ের দাবিতে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে গ্রাহকেরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ব্যানারে গতকাল সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে গ্রাহক শেখর বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনসহ অন্যরা।
ভুক্তভোগী গ্রাহক শেখর বাবু ও মাঠকর্মী উষা রানী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পাথরঘাটা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ১০৩ জন মাঠকর্মীর মাধ্যমে ১২ হাজার গ্রাহকের অন্তত ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের রাজধানীর রোকেয়া সরণির প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ নিয়ে গেলেও তাঁকে (এমডি) খুঁজে পাওয়া যায় না। ২০০১ সালে পাথরঘাটা শহরের পশ্চিম দিকে ১০ শতাংশ জমি কিনে সেখানে ব্যবসা চালু করা হয়।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজধানীর সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে দেওয়া সনদ বাতিল করেছে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এমআরএ)। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০০৬ ও ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিধিমালা-২০১০-এর শর্তাবলি পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের ৩০ জুলাই সনদ বাতিল করা হয়। তবু মাঠপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কয়েক দিন ধরে সোনালী ফাউন্ডেশনের পাথরঘাটার কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, এক মাসের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ না করলে ঢাকার প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে টাকা আদায় করা হবে।
এ ব্যাপারে সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন ওরফে ছগির প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় শাখা পর্যায়ে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ প্রতিবেদন দেয়নি বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন আজাদ কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি।