আমি লেখক ও শিক্ষক হিসেবে মর্মাহত: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

লেখক ও শিক্ষক হিসেবে আমি মর্মাহত। এমন একটা মামলার মারপ্যাঁচে ফেলে মুশতাক আহমেদকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া অন্যায়। এই মুহূর্তে আমি এই মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি চাই। আমাদের একটা সংবিধান আছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হলো সেই সংবিধান। আমি মনে করি সরকারও সংবিধানে বিশ্বাস না করে পারে না। এই সংবিধানেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত।

আরও পড়ুন

সরকারের সমালোচনা করা তো সরকার বিরোধিতার মধ্যে পড়ে না, রাষ্ট্র বিরোধিতা তো নয়ই। যদি সত্যিই সরকার মনে করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তার প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিল আছে, প্রচলিত আইনকানুন আছে। প্রচলিত পথে না গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মারপ্যাঁচে ফেলা অন্যায়। আর এই অন্যায়ের প্রতিকার না হলে আরও অনেক অন্যায়ের জন্ম নেবে।

লেখক মুশতাক আহমেদ

আর মুশতাক আহমেদ কী করেছেন? তিনি তো গুরুতর কোনো অপরাধ করেননি।

কোনো কথা সমালোচনামূলক মনে হলে সরকার খোলা মনে আলোচনার চেষ্টা করতে পারত। আর প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে যা মনে হয়েছে, এটা একটা বানোয়াট মামলা। আমি খুবই মর্মাহত। আমি এই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই। শুধু অথর্নৈতিক উন্নয়নই উন্নয়ন না, মুক্তচিন্তার চর্চা ও বিকাশ না ঘটলে একসময় এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন