আমেরিকার নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা, সেটা কথার কথা: সিইসি

কে এম নূরুল হুদা
ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রতিযোগিতায় নির্বাচন শুরু হবে। কিন্তু সহিংসতায় শেষ হবে না। নির্বাচনের চেয়ে জীবন অনেক মূল্যবান। সংঘাত–সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে, এটা হতে পারে না।


সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমেরিকার নির্বাচন তাদের আইন দিয়ে হয়, আমাদের নির্বাচন আমাদের আইন দিয়ে হয়। আমেরিকার নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা যেটা বলা হয়, সেটা কথার কথা।’


আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।


এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে নিজের ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে সিইসি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চার থেকে পাঁচ দিনে ভোট গুনতে পারে না। আমরা চার থেকে পাঁচ মিনিটে গুনে ফেলি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভালো দিকগুলো থেকে আমাদেরও শেখার আছে।’


সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘অনেকগুলো পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ লোক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি ঐতিহ্যবাহী করপোরেশন। এই নির্বাচনকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করি। দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক এটা পর্যবেক্ষণ করবেন। সুতরাং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য। এযাবৎ যে পরিবেশ–পরিস্থিতি আছে তা যেন বজায় থাকে। অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সিইসি বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু সেটা সহনশীল পর্যায়ে। এই নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির জীবন চলে গেছে। এভাবে সংঘাত–সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে, এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘তবে মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের ধন্যবাদ যে এই নির্বাচনকে আপনারা উৎসবমুখর করেছেন। নির্বাচন ভোটারদের পছন্দের বিষয়, সেটা চসিক নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে বলে আমার উপলব্ধি।’


সিইসি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে একজন প্রার্থীর পরিচয় সে প্রার্থীই। সে কোন দলের, মতের, গোত্রের—সেটা পরিচয় নয়। প্রত্যেকেই তাদের নির্বাচনী প্রচারণা, আইনি সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।’


বিএনপি নেতা–কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, যদি পরোয়ানা থাকে, মামলা থাকে তাহলে পুলিশ গ্রেপ্তার করতেই পারে। বিনা কারণে হয়রানি করবে না।

আরও পড়ুন