আরও ৩ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত, মোট ১০৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মানবিক সহায়তা ও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম এবং চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরও তিনজন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দুজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং একজন ইউপি সদস্য।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের অভিযোগে মোট ১০৭ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চার জন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রয়েছেন।
আজ সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম রুপমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির ১৯৮ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে 'বিবিধ ট্যাক্সের' নামে ২৮০ টাকা হারে অর্থ আদায় করেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপরজন হলেন হবিগঞ্জ জেলার গজনাইন ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান । তাঁর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, নিয়ম ভেঙে ডিলারকে দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা এবং মৃত ব্যক্তি ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত, বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ব্যক্তির মাঝে বিতরণ না করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম বিশ্বাসকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের কেন চূড়ান্তভাবে তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।