আরব সাগর থেকে আসা মেঘে শীত কমেছে

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

তিন দিন ধরে রাজধানীতে তো বটেই, দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে যেন বসন্তের আবহাওয়া চলে এসেছে। দিনের বেলা শহরের কোথাও কোথাও যেন গ্রীষ্মের খরতাপের অনুভূতি ফিরে এসেছে। দিনে রোদের ঝিকিমিকি শীতের এই ভরা মৌসুমেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে রাতে হালকা হিমেল হাওয়া থাকলে তা শীত খুব বেশি বাড়াচ্ছে না।

জানুয়ারির শীত এমনটা হওয়ার কথা নয়। এ মাসের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বছরের শীতলতম মাসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি। গত মঙ্গলবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নেওয়ার পর প্রতিদিনই দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে।

তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই গরমের অনুভূতি বড়জোর আর দুই দিন থাকবে। আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ আসতে শুরু করবে। এটিও বড়জোর দুই–তিন দিন স্থায়ী থাকবে। তারপর আবার শীতের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে আসবে। মাসের শেষের দিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, মূলত আরব সাগর থেকে আসা মেঘ আর জলীয়বাষ্পের কারণে শীত কমে গেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে মেঘ সরে গিয়ে শীতের পুবালি বায়ু শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তখন শীত বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শীতের এই সময়ে শীতল পুবালি বায়ু এখনো দুর্বল অবস্থায় আছে। বরং প্রতিদিনই আরব সাগর থেকে আসা পশ্চিমা লঘুচাপ শক্তিশালী হচ্ছে। এতে শীতের এই ভরা মৌসুমে গরমের অনুভূতি বাড়ছে। আরও এক দিন তাপমাত্রা বেড়ে তারপর কমতে থাকবে।

আজ শনিবারের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর বিভাগের কিছু কিছু স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দিন ও রাত–দুই বেলায়ই তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছিল। দেশের অন্যান্য স্থানেও তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৯ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।