আশার প্রতিষ্ঠাতা দরিদ্র মানুষের জন্য জীবনভর কাজ করে গেছেন

মো. সফিকুল হক চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি সংস্থা আশার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মো. সফিকুল হক চৌধুরী ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তিনি জীবনভর কাজ করে গেছেন। দারিদ্র্য বিমোচনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আশার সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল হক চৌধুরীর স্মরণে আজ শনিবার আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শোক ও স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আশা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আশার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ। এতে সফিকুল হক চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সমাজকর্মী ও স্বজনেরা।

বক্তারা বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা আশা টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী ক্ষুদ্রঋণ সেবায় বিশ্বজুড়ে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাঁর অবদান বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে সব সময়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডালেম চন্দ্র বর্মন সভায় বলেন, দরিদ্র মানুষের জন্য অসম্ভব দরদ ছিল তাঁর। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না করে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। অনেক বড় ঝুঁকি আছে জেনেও তিনি পিছপা হননি।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বল্পকালীন সময়ে কৃষি উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি কৃষকদের কল্যাণে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, যা নিজের অর্থেই কয়েক কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে।

আশা ইন্টারন্যাশনালের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা (সিওও) এনামুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর সম্মান ও গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তাঁর কারণে বিশ্বের অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে দারিদ্র্য নিরসন কর্মকাণ্ডে শামিল হয়েছেন।

আরও বক্তব্য দেন আশা ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আমিনুর রশিদ, আশার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। আশার নতুন প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।