আশিয়া ছড়িয়ে দেয় ভালোবাসা

দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা নিচ্ছেন আশিয়া ফাউন্ডেশনের এক সদস্য
ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বন্ধুর হাত ধরেই গড়ে ওঠে আশিয়া ফাউন্ডেশন। আজ থেকে সাত বছর আগে। কয়েক বছর ধরে একই লক্ষ্য ও স্বপ্ন ভাগাভাগি করে পাঁচ বন্ধু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনটি।

এ বছরও রমজানে #ছড়িয়েদেইভালোবাসা হ্যাশট্যাগের অধীনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।। কোভিড-১৯ দুই বছরে অসংখ্য মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। ইভেন্টটি মূলত দুভাবে পরিচালিত হচ্ছে—রান্না করা খাবার এবং খাদ্যসামগ্রী দুই-ই আছে এ কার্যক্রমে।

আশিয়া ফাউন্ডেশনের ব্যানারে তাঁদের মূল লক্ষ্য যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। ৩০ জন সদস্যের ভালোবাসার শক্তিতেই দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির সভাপতি তালহা জায়েদ। তিনি বলেন, আশিয়া ফাউন্ডেশন একটি নন-প্রফিট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামূলক সংস্থা, যার যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৮ জুন থেকে। পাঁচজন বন্ধুর সমাজে ইতিবাচক প্রভাব আনার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। তাঁদেরই মধ্যে একজন তালহা সায়েদ, যিনি আশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন।

ফাউন্ডেশনের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অর্গানাইজেশনটিতে আছেন মোট ৩০ জন সদস্য, যাঁরা একই লক্ষ্য ও স্বপ্ন ভাগাভাগি করে নেন, যাতে এমন একটি বাংলাদেশ হবে, যেখানে সবার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা—এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত থাকবে।

সাত বছর ধরে আশিয়া ফাউন্ডেশন ৩২টির বেশি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবছরের দুটি বড় ইভেন্ট—‘রামাদান মুবারক’ ও ‘উইন্টার ওয়ার্মথ’। আশিয়া ফাউন্ডেশনের কর্মীরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার, মেডিকেল সাপ্লাই, কাপড়-চাদর-কম্বল প্রভৃতি নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে আসছে।

গত বছর ২০২০-এ, সংগঠনটি ‘Combat Covid-19’ নামের একটি ইভেন্ট পরিচালনা করে। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এই কার্যক্রমে ঢাকা, সিলেট, গাইবান্ধা, পাবনা, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া করোনাকালের সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসকদেরও সম্মান জানানো হয়েছিল চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ করে। আলাদা করে ৭০ জন পথশিশুকে ২ মাস ধরে খাদ্যসামগ্রী, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয়েছিল।

২০২০ সালের শীতে ‘প্রজেক্ট উষ্ণতা’ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেড় হাজারের বেশি সহায়-সম্বলহীন মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া সাত বছর ধরেই প্রতিবছর রমজান মাসে অভাবগ্রস্ত, পথশিশুদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ অত্যন্ত নিয়মিত ব্যাপার।

যে কেউই আশিয়া ফাউন্ডেশনের পাশে দাঁড়াতে পারেন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মানুষের কাছে ভালোবাসা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সংগঠনটি।