আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চাইল রাষ্ট্রপক্ষ

হুমায়ুন আজাদ
ফাইল ছবি

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। তবে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। ২৪ জানুয়ারি আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন এই দিন ধার্য করেন। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম, পিপি বিপুল চন্দ্র দেবনাথ ও মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান চৌধুরী।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতকে বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাঁচজন জড়িত ছিলেন। আসামিদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ৪১ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দি, মামলার আলামত ও আসামির জবানবন্দির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। ওই ঘটনায় পরের দিন তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরেরই ১১ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান হুমায়ুন আজাদ।

এরপর হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা সংযুক্ত করার আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করলে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরই অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় কারাগারে আছেন দুই আসামি। তাঁরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ও আনোয়ার আলম।

পিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় পলাতক আছেন আসামি সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ। মারা গেছেন আসামি হাফিজ মাহমুদ।