আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে বাড়ছে লোকসমাগম

শাহ আহমদ শফী
ছবি: সংগৃহীত

হেফাজত ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় আসছেন। আজ শনিবার সকাল থেকে লোকজনের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে যায় মাদ্রাসার মাঠ। বেলা দুইটায় মাদ্রাসার মাঠে জানাজা হওয়ার কথা।

লোকসমাগম বেড়ে যাওয়ায় হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেখান থেকে হেঁটে লোকজন মাদ্রাসায় যাচ্ছেন। অন্যদিকে নাজিরহাট সড়কে দিয়ে আসা লোকজনও হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট পর্যন্ত আসতে পারছেন। সেখান থেকে হেঁটে মাদ্রাসায় আসতে হচ্ছে। মাদ্রাসার এক কিলোমিটার দূর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা থেকে আহমদ শফীর লাশবাহী গাড়িটি ভোরে রওনা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে গাড়িটি হাটহাজারী পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে মাদ্রাসার ভেতর উত্তর মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানে কবর খোঁড়াও শেষ হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর জানাজা ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ চার উপজেলায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। তদারকিতে থাকবেন সাত ম্যাজিস্ট্রেট। হাটহাজারীতে চারজন এবং বাকি তিনজন থাকবেন তিন উপজেলায়।

গতকাল শুক্রবার রাতে হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন চেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে হাটহাজারী উপজেলার জন্য চার প্লাটুন, বাকি তিন উপজেলার জন্য দুই প্লাটুন করে বিজিবি চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অপর এক আদেশের মাধ্যমে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় র‍্যাব, পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মাদ্রাসার সামনে ও আশপাশের এলাকায় পাহারায় রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে মারা যান শাহ আহমদ শফী। ১০৩ বছর বয়সী এই প্রবীণ আলেম চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন।

ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়ান তিনি। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেন শূরা কমিটি। গত বুধবার থেকে ছাত্ররা মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করে। ওই সময় তারা আনাসকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবি দেন। দাবি মেনে নেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তারা আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন