ই-বর্জ্য বাড়ছে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নেই

ফেলে দেওয়া মুঠোফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম থেকে পরিবেশদূষণের ঝুঁকি। এত দিনে হয়েছে বিধিমালা।

ই-বর্জ্যের রয়েছে মারাত্মক রেডিয়েশন, যা বিভিন্নভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে।
ফাইল ছবি

ই-বর্জ্য কী, তা জানা নেই ভাঙারির দোকানি কামরুল ইসলামের (৫২)। অথচ তাঁর কাজ ই-বর্জ্য নিয়েই। ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় কামরুলের দোকানে গিয়ে দেখা গেল গোটা বিশেক নষ্ট মুঠোফোন। সঙ্গে আছে পুরোনো ৭টি রেফ্রিজারেটর ও ১৩টি টেলিভিশন।

কামরুল প্রথম আলোকে বললেন, তিনি এসব নষ্ট ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম থেকে ব্যাটারি, সার্কিট, প্লাস্টিকের খোলস ইত্যাদি নিজ হাতে আলাদা করেন। কিছু কিছু আগুনে গলিয়ে ফেলেন। এরপর বিক্রি করেন। ১৮ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে তিনি কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করেননি। এখন তাঁর ফুসফুসে নানা সমস্যা ধরা পড়েছে। হাতের চামড়ায়ও পাঁচড়ার মতো উঠে যাচ্ছে।

দেশে বছর বছর লাখ লাখ মুঠোফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, এয়ারকন্ডিশনার, ফটোকপি মেশিনসহ নানা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম অকেজো হয়ে যায়। সমস্যা হলো, এসব ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের পরিবেশসম্মত ও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা নেই। সেগুলোর স্থান হয় অন্যান্য গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে আস্তাকুঁড় বা ডাস্টবিনে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের মধ্যে সিসা, সিলিকন, টিন, ক্যাডমিয়াম, পারদ, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি রাসায়নিক থাকে। এসব রাসায়নিক দেশের মাটি ও পানিকে দূষিত করছে। নানাভাবে

তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ প্রথম আলোকে বলেন, ই-বর্জ্যের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম নেওয়া, শিশুর ওজন কম হওয়া, এমনকি মৃত শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ই-বর্জ্যের সিসা নবজাতকের স্নায়ুতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। শিশু বড় হলে ফুসফুস, শ্বাসতন্ত্র, থাইরয়েড জটিলতা, ক্যানসার এবং হৃদ্‌রোগের মতো বড় রোগের জটিলতাও পড়ে।

ই-বর্জ্যের পরিমাণ কত

বাংলাদেশে বছরে কী পরিমাণে ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, ধ্বংস ও পরিবেশে মিশে যায়, তা নিয়ে সরকারি সুনির্দিষ্ট কোনো হালনাগাদ পরিসংখ্যান নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৮ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। এতে বলা হয়, ওই বছর দেশে ৪ লাখ টন বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন (ইলেকট্রনিকস) বর্জ্য জমা হয়। এর মধ্যে কেবল ৩ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা রিসাইক্লিংশিল্পে ব্যবহার করা হয়। বাকি ৯৭ শতাংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে ই-বর্জ্য বাড়ছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ এই ই-বর্জ্য বছরে ৪৬ লাখ টনে দাঁড়াবে।

ই-বর্জ্য সারা বিশ্বেই বড় উদ্বেগের কারণ। ই-বর্জ্য নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল ই-ওয়েস্ট স্ট্যাটিসটিকস পার্টনারশিপের (জিইএসপি) এক হিসাব বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচ বছরে ই-বর্জ্য ২১ শতাংশ হারে বাড়ে। ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে ৫ হাজার ৩৬০ কোটি কেজি ই-বর্জ্য জমা হয়। সে বছর মোট উৎপাদিত ই-বর্জ্যের শুধু ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। ই-বর্জ্য বেশি জমা হচ্ছে নিম্ন আয় ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্প্রতি ই-বর্জ্য ও শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ১৫ জুন প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ই-বর্জ্য থেকে কার্যকর ও বাধ্যতামূলকভাবে শিশুদের রক্ষা করতে আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ই-বর্জ্যের অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদের রক্ষা করতে কার্যকর ও বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদিত হয়। আবার বিপুল পরিমাণ পণ্য ফেলে দেওয়া হয়। এতে পৃথিবীজুড়ে ‘ই-বর্জ্যের সুনামি’ চলছে। মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক ও মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের বিপরীতে সমুদ্র এবং তার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সারা পৃথিবী এখন সরব। ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে মূল্যবান সম্পদ ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে ১ কোটি ২৯ লাখ নারী অপ্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য খাতে নিয়োজিত। এ সংখ্যক নারী ও তাঁদের অনাগত সন্তানদের বিষাক্ত ই-বর্জ্য দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। পাশাপাশি অন্তত ১ কোটি ৮০ লাখ শিশু-কিশোরের একটা বড় অংশের বয়স পাঁচ বছরের নিচে, যারা সক্রিয়ভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের সঙ্গে যুক্ত আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, অভিভাবকেরা প্রায়ই শিশুদের ই-বর্জ্য খেলতে দেন ও পুনর্ব্যবহার কাজে লাগান। ই-বর্জ্যের বিষাক্ত রাসায়নিক, বিশেষ করে মার্কারি এবং সিসা উচ্চমাত্রায় থাকে। এসব ক্ষতিকর পদার্থ খুব সহজেই শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। এতে শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের ক্ষমতা কমে।

ই-বর্জ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অনেক অভাব। অনেকেই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানেন না। আদাবরের বাসিন্দা অনুশ্রী চাকমা জানালেন, তাঁর বাসায় পুরোনো ও নষ্ট মুঠোফোন পড়ে আছে চারটি। তিনি বলেন, ‘একদিন সকালে দেখি, একটা ফোনের ব্যাটারি গলে গেছে। সেখান থেকে বিকট গন্ধযুক্ত তরল ছড়িয়েছে। ওই তরলে হাত লাগে। পরে সেখানে ফুসকুড়ি উঠেছিল।’

কী করছে সরকার

ই-বর্জ্যের এই ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর আগে। তবে এত দিনে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি বিধিমালা করেছে। ১০ জুন বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামের বিধিমালাটির গেজেট প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, এখন থেকে বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন পণ্য থেকে তৈরি হওয়া বর্জ্য উৎপাদনকারী বা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকেই ফেরত নিতে হবে। নষ্ট হওয়া মুঠোফোন, ল্যাপটপ থেকে যেকোনো বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন পণ্য প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দিলে ভোক্তারা বিনিময়ে টাকা পাবেন। এ ক্ষেত্রে একটি লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদিত ই-বর্জ্যের ৫০ শতাংশ সংগ্রহ করতে হবে।

এই বিধিমালায় গৃহস্থালি ও মেডিকেল সরঞ্জামের পাঁচ শ্রেণির ৭১টি বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন পণ্যে বিপজ্জনক পদার্থ ব্যবহারের মানমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ই-বর্জ্য কীভাবে পরিবহন করা হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো ধারা উল্লেখ নেই। শুধু ধারা ১৮-তে বলা আছে, ‘ই-বর্জ্য পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে পরিবহন করতে হবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী ই-বর্জ্য নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ই-বর্জ্যের এই দিকগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ই-বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিধিমালাটি করা। নতুন বিধিমালা সম্পর্কে খাতসংশ্লিষ্টদের অবহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামী মাসে আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক ও সংযোজনকারক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

এদিকে টেলিযোগাযোগ খাতে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি নির্ধারণ করতে একটি নির্দেশিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। খসড়া নির্দেশিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে সংস্থাটি ১ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে বিটিআরসির ওয়েবসাইটে তুলে ধরা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে টেলিযোগাযোগ পণ্য আমদানি ও উৎপাদনের কারণে বিপুল পরিমাণে ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। ই-বর্জ্যের কারণে দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখীন। এই প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত ওই নির্দেশিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ই-বর্জ্যের একটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এখানে মানুষ কিছুদিন পরপরই টেলিভিশন, স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বদলায়। সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় পুরোনো বেশির ভাগ সরঞ্জাম পুনর্ব্যবহার হয় না। উল্টো তা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যে নানাভাবে ক্ষতি করে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিধিমালাটিতে ই-বর্জ্যের ঝুঁকি কমাতে কী করা উচিত, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজের বণ্টন, ক্ষতিপূরণ চাওয়ার অভিভাবক কারা, আমদানি করা বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন পণ্যের পরীক্ষা, পরীক্ষাগার-সংক্রান্ত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কী করা উচিত, তা নেই। এ ছাড়া ই-বর্জ্য পরিবহন, ধ্বংসে নিযুক্তদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো নীতিমালার বাইরে থেকে গেছে।

যা বলছেন উৎপাদকেরা

ব্যবহৃত ইলেকট্রনিকস পণ্য ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা অনেক দিনের। দেশে ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারী ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড বলছে, তারা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল পুরোনো ও অচল মুঠোফোন সংগ্রহ করে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া। মুঠোফোন প্রস্তুতকারক ও সংযোজনকারী কোম্পানিগুলো তা পুনর্ব্যবহার করেছে।

ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বাসাবাড়ি থেকে পুরোনো ফোন সংগ্রহ করেছিলাম। এ জন্য একটা প্রচারাভিযানও চালানো হয়েছিল। সেগুলো পরে ফোন কোম্পানিগুলোর কাছে দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, বিপণিবিতানগুলোতে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। করোনার কারণে সে উদ্যোগ আপাতত বন্ধ আছে।

লাভজনক ব্যবসাও হতে পারে

দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখন ই-বর্জ্য থেকে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে। কেউ কেউ রপ্তানিও করে। এর মধ্যে একটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেলপাড়ায় আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি কম্পিউটার, টিভি, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস সরঞ্জামের পুনর্ব্যবহার করছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার টন বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়া করা হয় এই কারখানায়।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইসে মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ কারণে বাড়ছে এই বর্জ্যের পরিমাণ। ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।