ই–অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

ই–কমার্স
প্রতীকী ছবি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার হওয়ার দাবি করে ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে তাঁদের ৬ জন প্রতিনিধি গত মার্চে রিটটি করেন। ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে তা উদ্ধার করে ফেরত দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয় এ রিটে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের যে অভিযোগ, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, ই-অরেঞ্জ–সংশ্লিষ্ট যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা–ও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

রুলে ই–গ্রাহকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ পাচারের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক সোহেল রানা, স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন, বিথি আক্তারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানত চাওয়া হয়েছে রুলে।

একই সঙ্গে সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন, বিথি আক্তারসহ অন্যদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষতি অনুপাতে রিট আবেদনকারীসহ অন্যান্য প্রতারিত গ্রাহকের মধ্যে ওই টাকা বণ্টন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএফআইইউর প্রধান, বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক সোহেল রানা, স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।