ইইউর ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা কৌশল গৃহীত

নতুন এই কৌশলে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দীর্ঘস্থায়ী মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে।
ছবি: ইইউর বাংলাদেশ মিশনের ওয়েবসাইট

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাউন্সিলে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক সহযোগিতার কৌশলের সুপারিশ অনুমোদন হয়েছে। এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ আর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এই কৌশলের লক্ষ্য।

সোমবার ঢাকায় ইইউ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইইউর প্রধান কৌশলগত স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে এ অঞ্চলের কৌশলগত বিষয়ে মনোযোগ, উপস্থিতি ও পদক্ষেপের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে কাউন্সিল ইন্দো-প্যাসিফিকে কৌশলগত সহযোগিতার সুপারিশ অনুমোদন করেছে।

এই কৌশলের মধ্য দিয়ে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি ইইউ পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা সমুন্নত রেখে পূর্ব উপকূল থেকে আফ্রিকা হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত এই অঞ্চল ইইউর দীর্ঘস্থায়ী মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের এখনকার গতিময়তার ফলে প্রবল ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেছে, যা ব্যবসা আর সরবরাহব্যবস্থার পাশাপাশি প্রযুক্তি, রাজনীতি আর নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। মানবাধিকারও এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো এ অঞ্চল এবং তার বাইরেও স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, যা চূড়ান্তভাবে ইইউর স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলবে।

চূড়ান্তভাবে, ইইউ তার পদক্ষেপ এবং অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া, সবার জন্য সমান ক্ষেত্র বিকাশের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য একটি অবাধ ও মুক্ত পরিবেশ, পারস্পরিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বাড়ানো, পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং ইইউর সঙ্গে কানেকটিভিটিকে সমর্থন করবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে সমুদ্রপথে অবাধ ও মুক্তভাবে সরবরাহব্যবস্থা অব্যাহত রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ইস্যুগুলোতে অভিন্ন স্বার্থে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অংশীদারদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা, অপরাধমূলক সাইবার তৎপরতা, ভুল তথ্য, বিকাশমান প্রযুক্তি, সন্ত্রাসবাদ, সংঘবদ্ধ অপরাধসহ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বিকাশে ইইউর প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

কোভিড-১৯ মহামারির আর্থিক ও মানবিক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই আর্থসামাজিক পুনর্জাগরণ নিশ্চিত করতে ইইউ এবং তার আঞ্চলিক অংশীদারেরা একসঙ্গে কাজ করবে।