ইউপিতে ভোটের হার ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ

ফাইল ছবি

প্রথম ধাপের স্থগিত থাকা ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকের এই ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৩টিসহ ১১৯টি ইউপিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৩৬টিতে। আর একটিতে জয় পেয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী। চারটি ইউপিতে ভোটের ফলাফল স্থগিত আছে।

গতকাল সোমবার ১৬০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৪৩টিতে গতকাল চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। বাকি ইউপিগুলোর মধ্যে এই ফলাফল এসেছে। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় এই ফলাফলের তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম ধাপে মোট ৩৭১টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল গত এপ্রিল মাসে। করোনা সংক্রমণের কারণে তখন স্থগিত করা হয়। পরে ২১ জুন ২০৪টি ইউপিতে ভোট হয়। সে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। কিন্তু যেসব এলাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না, সেসব এলাকার ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। প্রথম ধাপের স্থগিত থাকা ১৬০টিতে গতকাল ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৮টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে। আর প্রার্থীর মৃত্যুসহ বিভিন্ন কারণে এখনো ৭টি ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইভিএমে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউপিতে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউপিতে, ৫৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

অন্যদিকে কাগজের ব্যালটে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৮৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার দাকোপ ইউনিয়ন পরিষদে। আর সবচেয়ে কম ৪৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নে।