ইয়াং বাংলার স্বেচ্ছাসেবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনলাইন সেমিনার

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কারণে দেশব্যাপী তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নিয়েছে সেন্টার অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা। আজ সিআরআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

ইয়াং বাংলার এসব স্বেচ্ছাসেবী সিআরএইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। ইয়াং বাংলার স্বেচ্ছাসেবীরা মাইকিং করে ও দোকানের সামনে এবং অন্যান্য জায়গায় সার্কেল দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ক্যাম্পেইন করছে।

যেহেতু এসব স্বেচ্ছাসেবী বাইরে কাজ করছেন, তাই তাঁদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ জন্য সিআরআই তাদের ২০০ কমিউনিটির লিডার ও অন্যান্য সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে গত সপ্তাহে তিনটির বেশি ‘অনলাইন সেমিনারের’ আয়োজন করে। এসব সেমিনারে ‘করোনার সময়ে স্বেচ্ছাসেবক ও সুরক্ষা’ সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) লিভার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব তরুণদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও প্রশ্নের জবাব দেন।

অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, আপনারা মানবতার সেবায় কাজ করছেন, সেরা কাজ করছেন। এ সময় বাইরে কাজ করে বাড়িতে আসার পর আপনাদের জুতা বাইরে রাখবেন সম্ভব হলে। অথবা ঘরের ভেতরে রাখার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে কাজ করার সময় একটি বাক্সে করে ঘড়ি, ওয়ালেট ও অন্যান্য জিনিস রাখতে পারেন। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে এসে মোবাইল পরিষ্কারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিহাইড্রেশন ও হিট স্ট্রোকের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেন অধ্যাপক মামুন। তিনি করোনা নিয়ে ভুয়া নিউজের ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ভুয়া খবর ও গুজব ঠেকাতে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। আমি অবাক হয়ে যাই যখন দেখি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো ব্যবহার করে মানুষ ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে। কেন মানুষজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিশিয়াল সাইটে ঢুকে না, এসব চেক করে না।’

এ ছাড়া ইয়াং বাংলার প্রথম অনলাইন সেমিনারে ‘ঘরে থাকুন’ বার্তার ওপর জোর দেয় এবং সমাজের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আইসিটি সরঞ্জাম ব্যবহারের আলোকপাত করে।
ইয়াং বাংলার দ্বিতীয় অনলাইন সেমিনারে পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বারডেম হাসপাতালের ফিজিশিয়ান মো. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, স্কয়ার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট মো. জাহিদুল হাসান প্রমুখ।