ঈদে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধের দাবি

ঈদে চার লাখেরও বেশি ফিটনেসবিহীন, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে যাত্রী না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে ১০ লাখের বেশি অবৈধ নছিমন-করিমনের মহাসড়কে চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনটি এসব দাবি জানায়।

মানববন্ধনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত যানবাহনের ২৯ শতাংশ, সিটিং সার্ভিসে ৪৭ শতাংশ ফিটনেস ছাড়াই চলাচল করে। নৌপথে ১৭ শতাংশ লঞ্চ ফিটনেস ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এসব ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চের কারণে সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নামমাত্র ‘ভিজিল্যান্স টিম’ গঠন করেছে। যাত্রীদের দুর্ভোগে তারা কোনো কাজে লাগে না। অন্যদিকে, মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত ‘ভিজিল্যান্স টিম’ মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে। এ কারণে জনস্বার্থে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করার কাজে এসব ভিজিল্যান্স টিমকে কাজে লাগাতে হবে। এসব টিমকে প্রতিদিন টিকিট কাউন্টারের কার্যক্রম মনিটরিং ও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর কাজে লাগাতে হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন বলেন, যাত্রীদের স্বার্থরক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল দখলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ দূর করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর যুগ্ম মহাসচিব লায়ন গণি মিয়া বাবুল ঈদ যাত্রায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করে অব্যবস্থাপনা দূর করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক কাজী আমান উল্যাহ মাহফুজ, কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, নাসিরুদ্দিন প্রমুখ।