ঈদের আগে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিশ্চয়তা

জামালপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ খান থাকেন জেলা শহরে। এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় দুই হাজার ৮৪০ জন দরিদ্র মানুষ এখনো পর্যন্ত ভিজিএফের চাল পাননি। ঈদের আগে চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র এসব মানুষ।

হারুন অর রশিদের দাবি, ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে তিনি এলাকায় যেতে পারেন না।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হারুন অর রশিদের সঙ্গে বোরহান উদ্দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আর এ দ্বন্দ্বের কারণে ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন।  ফুলবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ারা বেওয়া বলেন, ‘কার্ডের চাল না পাইলে ঈদে হাঁড়ি জ্বলবে না।’

ভাটারা ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, বোরহান উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, এর আগে গত ২৮ জুলাই জেলা পরিষদের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীরের উপস্থিতিতে তিনি পাঁচ মাসের ভিজিডির চাল একসঙ্গে বিতরণ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমি ও আমার কোনো নেতা-কর্মী চেয়ারম্যানকে পরিষদে আসতে বাধা দিইনি।’ ইউএনও পারভেজ রায়হান বলেন, গরিবদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সৈয়দ মনিরুল হক বলেন, শিগগিরই ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হবে।