‘উপযুক্ত আদালত’ মানে কী, সুনির্দিষ্ট করতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট    

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সর্বোত্তম স্বার্থে বাল্যবিবাহের অনুমতিসংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধানের ১৯ ধারা ও বিধিমালার ১৭ বিধিতে উল্লিখিত ‘উপযুক্ত আদালত’ মানে কী, তা সুনির্দিষ্ট করা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারা অনুসারে বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশে, পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিতে বিধি দিয়ে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। আর ২০১৮ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালার ১৭ বিধিতে বাল্যবিবাহের বিধান প্রয়োগের প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। রুলে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের স্বার্থে বিশেষ বিধানসংক্রান্ত ১৯ ধারার পাশাপাশি বিধিমালার ১৭ বিধিতে উল্লিখিত ‘উপযুক্ত আদালত’ সুনির্দিষ্ট করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রা

পরে আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ বছর বয়সী ঢাকার বাসিন্দা এক কিশোরী এবং ২৫ বছর বয়সী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে ইচ্ছুক তাঁদের অভিভাবকেরা। তাই উভয়ের বাবা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারা অনুসারে আইনগত অনুমতি চেয়ে গত ২০ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর আবেদন দেন। এতে বিফল হয়ে তাঁরা রিটটি করেন। বিশেষ বিধানসংক্রান্ত ১৯ ধারা অনুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সর্বোত্তম স্বার্থে অভিভাবকদের সম্মতিতে আদালতের নির্দেশে বিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আইনের ১৯ ধারায় ও বিধিমালার ১৭ ধারায় উপযুক্ত আদালত বলতে কোন আদালত বোঝাবে—তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। এ নিয়ে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।