উবার, সহজ, পাঠাওসহ ৯ কোম্পানি সনদ পেয়েছে

অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের বড় তিনটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার, সহজ ও পাঠাও নিবন্ধন সনদ পেয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আজ বুধবার উবার বাংলাদেশ ও সহজ ডটকমকে নিবন্ধন সনদ দেয়। গতকাল মঙ্গলবার সনদ পায় পাঠাও লিমিটেড। বিআরটিএ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে গত জুলাইয়ে বিআরটিএর অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ১২টি কোম্পানি তালিকাভুক্তির আবেদন করে। নানা আনুষ্ঠানিকতার পর এখন পর্যন্ত নয়টি কোম্পানি সনদ পেয়েছে। বাকি তিনটি কোম্পানি বিআরটিএর তালিকাভুক্ত, তবে চূড়ান্ত সনদ পায়নি।

রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুসারে, প্রথমে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হবে। এরপর কমপক্ষে ১০০ গাড়ির নিবন্ধন নম্বর ও চালকদের তথ্যসহ বিস্তারিত বিআরটিএতে জমা দেওয়ার পর চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত নয়টি কোম্পানির ৯০০ গাড়ি বিআরটিএর নিবন্ধন নিয়েছে।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইড শেয়ারিং কোম্পানির নিবন্ধন দুই স্তরে হচ্ছে। প্রথমে কোম্পানি হিসেবে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিকে বিআরটিএর তালিকাভুক্ত হতে হয়েছে। শুধু ঢাকায় চালানোর জন্য কোম্পানির তালিকাভুক্তি ফি ১ লাখ ১৫ হাজার। একই ফি দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরে চালাতেও। এর বাইরে এক বা একাধিক জেলায় চালানোর জন্য ফি ১ লাখ ১৫ হাজার। দ্বিতীয় স্তরে প্রতিটি যানবাহন ও চালকের তথ্য সরবরাহ করে চূড়ান্ত সনদ নিতে হয়। প্রতিটি মোটরসাইকেলের জন্য ভ্যাটসহ ৫৭৫ টাকা এবং গাড়ির জন্য ১ হাজার ১৫০ টাকা বিআরটিএতে জমা দিতে হয়।

বর্তমানে বিআরটিএর নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪২ লাখ। চালকের লাইসেন্স আছে প্রায় ৩৪ লাখ। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো চালক ও যানের তথ্য অনলাইন পোর্টালে দিলেই তা বিআরটিএর সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালকের লাইসেন্স এবং যানের নিবন্ধন সঠিক কি না, তা যাচাই হয়ে যায়।

বিআরটিএর একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ১০০ গাড়ির তথ্য সরবরাহ করে সনদ পেয়েছে। এর অর্থ এই নয়, যে যত খুশি তত গাড়ি চালাতে পারবে। পর্যায়ক্রমে কোম্পানিগুলোকে তাদের সব গাড়ির তথ্য বিআরটিএতে জমা দিতে হবে। তা না হলে পুলিশ চাইলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।

এ বিষয়ে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নয়টি কোম্পানি সনদ পেয়েছে। বাকি তিনটি কোম্পানির সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি বলেন, রাইড শেয়ারিং কোম্পানির তালিকাভুক্তি, গাড়ি নিবন্ধিত করা এবং চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে। কাউকে সশরীরে বিআরটিএ কার্যালয়ে আসার প্রয়োজন হয়নি। ঘরে বসেই পুরোপুরি সেবা পেয়েছে কোম্পানিগুলো।