উৎকণ্ঠার রাত শেষে স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা
‘কাল (বুধবার) বিকেলে ভয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসি। আমাদের বাড়ি একেবারে
বাঁধের পাশে। যদি ঝড় আসে, সব শেষ। তাই প্রাণভয়ে ১৪ কিলোমিটার হেঁটে সদরে চলে আসি। কী জানি,
শেষ পর্যন্ত ঘরটি থাকে কি না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এভাবে নিজের উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ করেন বাঁশখালী জলদী বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া মরিয়ম বেগম। সেখানে আশ্রয় নেওয়া সবার মধ্যেই ছিল এ রকম উৎকণ্ঠা।
বিকেল হতে না হতেই এই চিন্তার মেঘ সরে যায়। স্বস্তি দেখা যায় মরিয়মদের মনে। এভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়
একটি রাত আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়ে গতকাল স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপকূলের
বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের ধেয়ে আসার কারণে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর গত বুধবার বাঁশখালী ও আনোয়ারার
মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়।
বাঁশখালীর ইউএনও শাব্বির ইকবাল বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড় লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছি। আশঙ্কা কেটে
যাওয়ায় বিকেল থেকে তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন ছিল উৎকণ্ঠিত। বাড়ি ছেড়ে এলেও ঝড়ে
বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে কি না, এ নিয়ে সবার মধ্যেই ছিল উৎকণ্ঠা।