ঋষি কাপুরের প্রয়াণ বলিউডের এক নক্ষত্রের পতন

ঋষি কাপুর বোম্বাই সিনেমার এক মহানায়ক, তাঁর অভিনয়ের প্রতিভা ছোটকাল থেকেই বিকশিত হয়। তাঁর বাবা ছিলেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি মহানায়ক রাজ কাপুর। ঋষি কাপুর ছিলেন যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান।
বাবার হাত ধরেই ‘শ্রী ৪২০’ সিনেমার মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়জীবনের শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭০ সালে বাবার সিনেমা ‘মেরে নাম জোকার’–এর মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিনয়জীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে অভিনীত ববি সিনেমার মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। সেই সঙ্গে সুপারস্টারের তকমা অর্জন করেন।
‘রাফু চক্কর’, ‘হাম কিসিসে কাম নেহি’, ‘আমার আকবর অ্যান্থনি’, ‘নাগিন’, ‘দিওয়ানা’সহ একে একে বহু সিনেমাতে অভিনয় করে নিজের অভিনয়ের প্রতিভা প্রমাণ করেছেন ঋষি কাপুর। তাঁর অভিনয় শুধু ভারতবর্ষই নয়, পুরো উপমহাদেশের সব দর্শকের মন জয় করেছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। স্ত্রী নিতু সিং বলিউডের একসময়ের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁরা দুজন একসঙ্গে জুটি হয়ে ১৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁরা ১৯৮০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের ছেলে রণবীর কাপুর বর্তমান সময়ের একজন অন্যতম অভিনেতা। বাবার মতোই অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
দুই বছর ধরে ঋষি কাপুর দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন, নিউইয়র্কে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছিলেন। জুহি চাওলার সঙ্গে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কিছু অংশ শুটিংও করেছিলেন। তাঁর অসুস্থার কারণে পুরোপুরি ছবিটি শেষ করতে পারেননি। অভিনয়জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিল্ম ফেয়ারসহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন।
এই নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে না, কিন্তু তার কাজ সব সময় টিকে থাকে। তেমনি করে তাঁর অভিনয় যুগে যুগে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাবে।
*লেখক: প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ