ভারতের সঙ্গে আকাশপথ খুলবে এ মাসেই

বিমান
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতের সঙ্গেও আকাশপথে নিয়মিত যোগাযোগ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এয়ার বাবল নামের বিশেষায়িত কর্মসূচির মাধ্যমে এ মাসেই দুই নিকট প্রতিবেশীর মধ্যে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন আবার শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এয়ার বাবলের আওতায় দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পরিবহন শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এয়ার বাবল চালুর জন্য আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমাদের কিছু অনুরোধে ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচলসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাজ হলো এটিকে চূড়ান্ত করা। এখন একজন রোগীর সঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট যেতে পারেন। একজন রোগীর সঙ্গে যেন দুজন অ্যাটেনডেন্ট যেতে পারেন, সেই অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা এখন তিনজনের বিষয়ে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয় এই মাসেই এটা হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশে পেঁয়াজ, পাটসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমাদের যা নেই, সেটি আমরা দিতে পারি না। তবে এটিও ঠিক, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে আমাদের আরও ভালো কিছু করার আছে। আমরা বাংলাদেশে ১০ হাজার করে দুই ধরনের ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোভিডের কারণে স্থল সীমান্তগুলো পুরোপুরি খোলা হয়নি। তাই আমরা দ্রুততম সময়ে পৌঁছানোর জন্য চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আনার প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ, ওই পেঁয়াজগুলো সেখানকার। এখন আমদানিকারকেরা আলোচনা করে এটার ব্যবস্থা করবেন।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অনেক বছর ধরে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক হচ্ছে না। আমরা এ বছর জেআরসির বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করব। ওই বৈঠকের আগে পানিসম্পদ সচিবদের বৈঠক হবে।’

তিস্তা চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিন্ন নদী আছে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য নদীর বিষয়েও অগ্রগতি আছে। সেগুলোও আমরা একই সঙ্গে সেরে ফেলার চেষ্টা করব। তিস্তার জন্য অন্যান্য অগ্রগতি থামিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সুতরাং যেখানে অগ্রগতি হচ্ছে সেই জায়গাগুলোতে আমরা এগিয়ে যাব। তিস্তার ক্ষেত্রে টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করব।’