এক বছর ধরে এক্স-রে মেশিন বিকল, দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন এক বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। বাইরে থেকে দ্বিগুণের বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য ২০১০ সালে এক্স-রে মেশিনটি বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে কয়েক দফা মেশিনটি বিকল হলে মেরামত করা হয়। গত বছরের জুন মাসে এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে যায়। মেরামতের জন্য ওই বছরের ১৫ জুলাই ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেন আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র সাহা। ২০ মে ঢাকা থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল বিকল হওয়া এক্স-রে মেশিনটি পরিদর্শন করেন। তা মেরামত করতে তিন লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়। ২৫ মে টাকা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন বরাবর একটি চিঠি দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোগীকে এক্স-রে করানোর জন্য দেন সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
টেকনোলজিস্ট আবদুল লতিফ বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে ৪০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে ২০-২৫ জনকে বিভিন্ন রোগের জন্য এক্স-রে করতে হয়। প্রতিটি এক্স-রের জন্য ৪৪-৫৫ টাকা ব্যয় হয় রোগীর।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এক্স-রে মেশিন বিকল হওয়ার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পরে টাকার বিষয়ে মতামত জানতে জেলা সিভিল সার্জনকে চিঠি দিয়েছি। তিনি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ আগস্ট মাসে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া যাবে। আর টাকা পেলেই মেশিনটি মেরামত করা হবে।