একই পরিবারের তিনজনের নির্বাচনী লড়াই

আবদুর রশিদ এবং তাঁর দুই ছেলে জাকির হোসেন ও দিদার হােসেন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মোল্লা চেয়ারপদে নির্বাচন করছেন। আর এই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আপন দুই ভাই।

ওই আপন দুই ভাই হলেন আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (প্রতীক ফুটবল) ও দিদার হোসেন মোল্লা (প্রতীক ঘুড়ি)। তবে একই পরিবারের তিনজনের নির্বাচন নিয়ে এলাকায় বেশ জল্পনাকল্পনা চলছে।

তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর এই নির্বাচন হবে। আবদুর রশিদ মোল্লা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। এ কারণে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দুই ভাই ওয়ার্ড ও গ্রামপর্যায়ে প্রতিটি ঘরে গিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এক ভাই ভোট চেয়ে যেতে না যেতেই আরেক ভাই এসে ভোট চাচ্ছেন। একই পরিবারের দুজন একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় তাঁদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও কৌতূহল রয়েছে।

রহিমা বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে সদস্যপদে আপন দুই ভাই প্রার্থী। একই পরিবারের দুজন প্রার্থী হওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়ে গেছি। কাকে ভোট দেব আর কাকে দেব না। তবে যিনি নির্বাচিত হলে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ হবে, আমরা তাঁকেই ভোট দেব।’

ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের জন্য কাজ করছি। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। আশা করছি, এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’

ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে এবার আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, জনগণ এবার আমাকে নিরাশ করবে না। বিপুল ভোটে আমাকেই জয়ী করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রশিদ মোল্লা বলেন, ‘দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাইনি। তাই জনগণের অনুরোধে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছি।’ তবে দুই ছেলে একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। তাঁরা নির্বাচন করতে চেয়েছেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকারে আমি হস্তক্ষেপ করিনি।’