এখন উদ্‌যাপন ও আত্মমূল্যায়নের সময়

অর্জন ও ঘাটতিগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যৎ পথরেখা তৈরির জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়।

গত ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুপুরের আলোয় চোখের সামনে ধরা দেয় দেশের দীর্ঘতম ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামো। বিজয়ের মাসে স্বপ্ন পূরণ হয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলাসহ সারা দেশের মানুষের
ফাইল ছবি

আমরা যাঁরা বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বিকাশ পর্বে বেড়ে উঠেছি এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা দেখেছি, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একই সঙ্গে উদ্‌যাপন ও আত্মমূল্যায়নের সময়। আমরা সফলতাগুলো উদ্‌যাপন করছি এবং সেগুলোর পেছনের কারণগুলো বের করার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের ব্যর্থতার দিকগুলো বিচার করে ভুলগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। যেহেতু আমরা উদ্‌যাপন করছি, তাই অর্জন ও ঘাটতিগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যৎ পথরেখা তৈরির জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়।

স্বাধীনতার সময় আমাদের বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নতুন একটি রাষ্ট্র নির্মাণ, নতুন একটি জাতিকে এক সুতায় গাঁথা, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জ আমাদের মনোবলকে দমাতে পারেনি। মোটের ওপর আমরা একটা অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলাম; উত্তর-ঔপনিবেশিক বিশ্বে প্রথম জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে নিজেদের প্রচেষ্টায়ই আমরা ‘সোনার বাংলা’ গড়তে পারব। আমরা ছিলাম তরুণ, সব খাতে আমাদের নেতৃত্বও ছিল তরুণ।

আর্থসামাজিক উন্নয়নে ধারাবাহিকতা

ওই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিল আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে। সীমিত সম্পদ নিয়ে কীভাবে আমাদের লোকজনের খাবারের সংস্থান করব ও তাঁদের শিক্ষিত করে তুলব, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন মেটাব, কীভাবে দারিদ্র্য কমাব এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হব, তা ছিল বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

বিস্ময়করভাবে গত ৫০ বছরে আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জন করেছি। ১৯৭১ সালে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ছিল ৪৬ বছর, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। মাথাপিছু আয় ছিল ১২০ মার্কিন ডলার, এখন তা বেড়ে ২০০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এখন আর বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল নই। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে আমাদের অর্জনগুলো নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।

একটি বিষয়ে সাধারণ মতৈক্য রয়েছে যে অনেক পদক্ষেপই আমরা আগেভাগে নিয়েছি এবং শাসক দলের পরিবর্তন হলেও তা অব্যাহত রাখায় ফলপ্রসূ হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ও আর্থিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং জনগণকে নিজেদের অবস্থার উন্নয়নে তাঁদের মতো করে উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরতদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় এবং এখানকার সমস্যাগুলোর নিজেদের মতো করে সমাধান বের করাটা আমাদের এই অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

রাজনীতিতে উত্থান-পতন

আর্থসামাজিক উন্নয়নে ধারাবাহিকতা থাকলেও আমাদের রাজনৈতিক পথচলা মসৃণ ছিল না। স্বাধীনতার পর আমরা একটি বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সংবিধান প্রণীত হয়, যাতে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি গৃহীত হয়—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। কিন্তু গত ৫০ বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা সামনে এগোতে পারিনি। চলার পথে বিচ্যুতি ও পতন হয়েছে, আবার কক্ষপথে ফিরেছি।

গণতন্ত্র ছিল প্রথম মূলনীতি, যা আক্রান্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর চার বছরের মধ্যে দেশ একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে যায় এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সামরিক শাসনের কবলে পড়ে, যা ১৫ বছর চলে।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সংবিধানের অপর দুই মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র উপেক্ষিত হয়। প্রথম সেনাশাসক সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি থেকে বাদ দেন। তিনি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেন, যাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহারের সুযোগ ফিরে আসে।

তিনি সমাজতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র’ করেন, এর মধ্য দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার মালিকানা হারায় জনগণ। পাশাপাশি তিনি বাজারবান্ধব নানা নীতি গ্রহণ করেন। এসব নীতি পরের সরকারগুলোর আমলেও অনুসৃত হতে থাকে এবং আমাদের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোও সমাজতন্ত্র নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। দ্বিতীয় সামরিক শাসক ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেন এবং বেসরকারি খাতের জন্য সুযোগ আরও সম্প্রসারিত করেন।

জনগণের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে সেনাশাসনের অবসান ঘটে। আমরা ভেবেছিলাম গণতান্ত্রিক যাত্রা পুনরায় শুরু করার জন্য দ্বিতীয় একটি সুযোগ পেলাম। পরের ১৬ বছর প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার অদল-বদল হল। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি (বিএনপি) ক্ষমতায় এল-গেল। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আমরা তৈরি করেছিলাম সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু নিয়মিত নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন হলো না। বিরোধীরা দমন-পীড়নের মুখে পড়ল এবং গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলো। বিরোধীরা অধিবেশন বর্জন করতে থাকায় সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং সড়কে বিক্ষোভ, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি আবার ফিরে আসে, যাতে দেশের অর্থনীতি ও জনগণের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০০৭ সালে আমাদের ভঙ্গুর নির্বাচনী গণতন্ত্র আবার ভেঙে পড়ে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দল মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। সেনাবাহিনী–সমর্থিত একটি বেসামরিক সরকার দুই বছর দেশ শাসন করে। এই সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে, যেটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজয়ী হয়। বিজয়ী জোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার। আমরা আবার আশাবাদী হয়েছিলাম, গণতান্ত্রিক যাত্রায় ফেরার তৃতীয় সুযোগটি আমরা পেলাম।

কিন্তু ২০১১ সালে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেওয়া হলো। তখন থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যবস্থার (ফর্মুলা) বিষয়ে একমত হতে পারছে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে। ওই নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও এই নির্বাচনে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে আমাদের নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

নির্বাচনী গণতন্ত্রে অগণতান্ত্রিক চর্চা

১৯৯০ সালে নির্বাচনী গণতন্ত্রে ফেরার পর থেকে গণতন্ত্র নিয়ে প্রতিটি বৈশ্বিক জরিপেই বাংলাদেশের অবস্থান ধারাবাহিকভাবে খারাপের দিকে। বিশেষ করে ‘আইনের শাসন’ সূচকে আমাদের অবস্থান খারাপ। ‘হরাইজন্টাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ইনস্টিটিউশনস’ নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা অর্থাৎ জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানসমূহ যাদের নির্বাহী বিভাগকে জবাবদিহির এখতিয়ার রয়েছে সেগুলোর স্বাধীনতা ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ‘আইনের শাসন’ সূচকে খারাপ অবস্থান শুধু আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে না, এর মধ্য দিয়ে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার ঘাটতিও প্রকাশিত হয়। নাগরিকেরা ভরসা করতে পারে না যে রাষ্ট্র তাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলোর সুরক্ষা দেবে।

আইনের শাসনের তুলনায় ‘ভয়েস’ সূচক, যার মাধ্যমে ভার্টিক্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ইনস্টিটিউশনসের শক্তি পরিমাপ করা হয়, অর্থাৎ জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতে ১৯৯১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি হয়েছিল। ভার্টিক্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি পরিমাপ করা হয় সংবাদমাধ্যম ও সুশীল সমাজের স্বাধীনতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ইত্যাদির আলোকে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘ভয়েস’ সূচকেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন এবং সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের নানা পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

আগামীর প্রত্যাশা

সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৫০ বছর আগের তুলনায় দেশ এখন অনেক শক্তিশালী। আমাদের অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে অনেক বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে চলছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং আগামী ২০ বছরে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে নেবে।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ অনেক এবং নানা দিক থেকে আমাদের পদক্ষেপ দরকার। আমি তিন ক্ষেত্রে কাজ করায় অগ্রাধিকার দেব। প্রথমত, আমাদের সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে (সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন) স্বাধীনভাবে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে সেগুলো জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের ভূমিকা রাখতে পারে। বাকস্বাধীনতায় খড়্গ নিয়ে আসা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংশোধন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। অতীতে আমরা দেখিয়েছি যে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আমরা সক্ষম। এখন আবার ওই ধরনের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে একটি সমঝোতায় আসতে হবে যে ‘উইনার টেকস অল’ সংস্কৃতি তারা পরিত্যাগ করবে। এই সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিকে সংঘাতময় করেছে, তৈরি হয়েছে বর্জনের ধারা। এতে পরাজিতরা প্রান্তিক হয়ে ওঠে। ফলে রাজনৈতিক ভাষ্য হয়ে ওঠে অসহনীয় এবং জনগণের কথা বলার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ে।

তৃতীয়ত, আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের কাজ করতে হবে। যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দল-মতনির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ করবে। এটা একটা কঠিন কাজ, কিন্তু আমাদের একটি ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যবস্থা থেকে শাসনকেন্দ্রিক ব্যবস্থায় যেতে হবে।

রওনক জাহান: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিসটিংগুইশড ফেলো।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আজিজ হাসান