এবার চাই জুতা

দুয়ারে কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। পোশাক কেনা প্রায় শেষ। এখন সবার চাই জুতসই জুতা। ফুটপাতের দোকান থেকে অভিজাত বিপণিবিতান—সর্বত্র এখন জুতা বেচাকেনার ধুম।
গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বিপণিবিতান ও ফুটপাত ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। হালের ফ্যাশন আর পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা কিনতে ব্যস্ত নারী-পুরুষ-শিশু—সবাই।
বিপণিবিতানগুলোতে বাটা, হাসপাপিস, অ্যাপেক্স, লোটো ও বে অ্যাম্পোরিয়াম ব্র্যান্ডের জুতার চাহিদাই বেশি। নিউমার্কেটের তৃতীয় তলায় জেনিসের শোরুম ব্যবস্থাপক শওকত আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে তাঁরা ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবার প্রায় দু শ নকশায় করা জুতা এনেছে তাঁদের প্রতিষ্ঠান। তাঁর ভাষায়, ‘রোজাও শেষ হয়ে আসছে। আমাদের বেচাও বেড়েছে। ছেলেরা দুই ফিতার স্যান্ডেল ও কেডস বেশি পছন্দ করছেন। আর মেয়েরা কিনছেন হিলের জুতা। আমাদের এখানে ৭০০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় জুতা বিক্রি হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার জেনিসের ওই শোরুমেই মুরাদপুর থেকে জুতা কিনতে এসেছিলেন চাকরিজীবী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘স্ত্রী ও মেয়ের জন্য সব কেনা হয়ে গেছে। নিজের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট ও প্যান্টও কিনেছি। শুধু জুতা কেনাটা বাকি ছিল। তাই অফিস শেষ করে নিজের জন্য জুতা কিনছি।’
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম ব্যবস্থাপক এবং দোকানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার পুরুষদের ক্ষেত্রে স্লিপার, দুই ফিতার জুতা, স্নিকার্স ও কেডসের কাটতি সবচেয়ে বেশি। আর নারীরা বেশি পছন্দ করছেন পেনসিল হিল, ব্লক হিল ও ফ্ল্যাট স্যান্ডেল। কিশোরীদের বেশি পছন্দ ব্যালেরিনা শু। পুরুষেরা ৮০০-১০০০ টাকা দামের জুতাই বেশি কিনছেন।
নিউমার্কেটের বাটা শোরুমের ব্যবস্থাপক শামীম আহসান বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে প্রায় সাত শ নকশার জুতা আমরা এনেছি। এখন বিকাল হলেই শোরুমে গ্রাহকদের ভিড় উপচে পড়ছে। ভালোই বিক্রি হচ্ছে এবার।’
বাটা শোরুম থেকে এক হাজার টাকায় জুতা কিনছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ বর্ষা ঋতুতে পড়ায় জুতা কেনার সময় বিষয়টি খেয়াল রেখেছি। আর পোশাকের সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্য থাকে, তারও সমন্বয় করেছি।’ জুতার দোকানের জন্য বিখ্যাত রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকু মুন্ডি লেন। গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে প্রতিটি জুতার দোকানে ক্রেতাদের সমাবেশ। একেকটি দোকানে বিক্রয়কর্মী আছেন চার থেকে পাঁচজন করে। তারপরও চাপ সামলাতে পারছিলেন না তাঁরা।
চাক্তাই থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তামাকু মুন্ডি লেনের দোকানগুলোতে ঘুরে জুতা পছন্দ করছিলেন ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সবার পোশাক কেনা শেষ। এখন জুতা কিনলেই সাড়া। এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা পাওয়া যায়। দরদামও করা যায়। তাই এখানে এসেছি।’