এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ২৩৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২১ জন সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


আজ বৃহস্পতিবার দুদকের তিনজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে তিনটি পৃথক মামলা করেন।
মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়, আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছাড় দিয়ে এবি ব্যাংকের মোট ২৩৬ কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাৎ​ করা হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেমাট সিটি জেনারেল ট্রেডিং, সিঙ্গাপুরের এটিজেড কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেড ও ইউরোকারস হোল্ডিংস পিটিই লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খোলার আগেই ঋণ অনুমোদন করা হয়।


দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি (নম্বর ২১) করেন। তাতে ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ২১ জনই এবি ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক এমডি মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায় ও মো. মেজবাউল হক, ডিএমডি সাজ্জাদ হোসেন, কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, মো. আরিফ নেওয়াজ, কাজী আশিকুর রহমান, কাজী নাসিম আহমেদ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সালমা আক্তার, শামীম আহমেদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মো. আমিনুর রহমান ও সরফুদ্দিন আহমেদ। অপর দুই আসামি হলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবুর রশিদ ও মো. লোকমান হোসেন। লোকমান হোসেন তিন মামলায়ই ১ নম্বর আসামি।


দ্বিতীয় মা​মলাটির বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা। ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায়ও ২৩ জন আসামি। আগের মামলার কেবল তায়েবুর রশিদের নাম নেই এতে। নতুন আসামি যুক্ত হন ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন।


১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ করা তৃতীয় মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার। আসামি ২০ জন। এতে লোকমান হোসেনসহ আসামি করা হয়েছে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক এমডি মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায় ও মো. মেজবাউল হক ও জাকিয়া এস আর খান, ডিএমডি সাজ্জাদ হোসেনকে। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফ নেওয়াজ, সালাহ উদ্দিন, পানেট চক্রবর্তী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সালমা আক্তার, মো. শাহজাহান, মো. আমিনুর রহমান ও সরফুদ্দিন আহমেদকেও আসামি করা হয়।