এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়ায় শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেতে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া এ আশ্বাস দিয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সই হওয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রূপরেখা চুক্তির (টিফা) আওতায় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে সাধারণ বাণিজ্য বিষয়ের পাশাপাশি পণ্য ও সেবার বাণিজ্য, বিনিয়োগের বিকাশ, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে ব্যাপকতর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহ নিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্যের বিকাশে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার পাশাপাশি শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর মধ্যে যোগাযোগে উৎসাহিত করার বিষয়ে বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে।
বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এবং বাংলাদেশের উৎপাদনকারীরা যেন আরও সমন্বিতভাবে যুক্ত হতে পারেন, তার উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারকেরা যাতে পণ্যের মানের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেই লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে দেশটি আগ্রহ দেখিয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ উত্তোলন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং সামুদ্রিক খাতে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী যাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে দেশের এডুকেশন প্রোফাইলের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

বৈঠকে তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশের এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রথম সচিব গ্যারি কোয়ান তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার অংশ নেন।