এলডিসির জন্য বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট মেধাস্বত্ব বাতিলের সুবিধা বাড়ল

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট মেধাস্বত্ব (ট্রিপস) বাতিলের সুবিধা আরও ১৩ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যদেশগুলোর মধ্যে দেনদরবারের পর স্বল্পোন্নত দেশের এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় ট্রিপস কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
জেনেভা থেকে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়। এ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য এটিই সর্বোচ্চ সময়ের জন্য বৃদ্ধি। এর আগে যথাক্রমে সাত ও আট বছরের জন্য এ সুবিধা বাড়ানো হয়েছিল।

জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বল্প সময়ের বেশি ছাড় দিতে কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আগের তুলনায় পাঁচ বছরের বেশি সময় পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে এই বিশেষ সুবিধা আগামী ১ জুলাই ২০৩৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই অর্জনে আমি ও আমার সহকর্মীরা আনন্দিত। বাংলাদেশ শিগগির স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের ইচ্ছা ছিল, এই দেশগুলোর জন্য একটা লম্বা সময়ের ছাড় আদায় করে দিয়ে যাওয়া, যাতে করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঘন ঘন এ–সংক্রান্ত আলোচনায় বসতে না হয়।’

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বরাবরই স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বিভিন্ন দর-কষাকষিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এই মুহূর্তে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণসংক্রান্ত আরেকটি প্রস্তাব বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ পরিষদের বিবেচনাধীন রয়েছে। এই আলোচনাতেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ চাদ সংস্থাটিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। তবে বাণিজ্য ও মেধাস্বত্ব–সম্পর্কিত বিষয়গুলোর আলোচনায় এই দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।