ওয়ান–ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আরেকটা ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সৃষ্টি করতে তখনকার কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবেরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে আরেকটা ওয়ান–ইলেভেন সৃষ্টি করতে। তবে সেই দিন আর আসবে না।’

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ওয়ান-ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছে, তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। ওয়ান–ইলেভেন ছিল রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালাস্বরূপ। সেখান থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান-ইলেভেন একটি দুষ্ট ক্ষত। এই ক্ষত তৈরি হয় বিএনপির হঠকারী ও ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। ইয়াজউদ্দীন একদিকে রাষ্ট্রপতি, অপর দিকে তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। এরপরই আসে ওয়ান-ইলেভেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সে সময় দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনো সফল হতে দেবে না।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দী দিবস। আর তাঁর কারামুক্তি দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি মানে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসানো নয়। জনগণের জন্য নির্মোহ রাজনীতি করলেই জনগণই পুরস্কৃত করে। তার উজ্জ্বল উদাহরণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আকাশচুম্বী সমর্থন। যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনে ছিল ব্যস্ত, জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে দূরে সরাতে অতীতেও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল জনগণের পাশে নেই। বিএনপি ঘরে বসে বিষোদ্‌গার করে যাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শতভাগ মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।