ওয়াসফিয়া পেলেন 'মিতো স্মৃতি সম্মাননা পদক'

ওয়াসফিয়া নাজরীনের হাতে ‘মিতো স্মৃতি সম্মাননা পদক’ তুলে দিচ্ছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ছবি: নাসরিন আকতার
ওয়াসফিয়া নাজরীনের হাতে ‘মিতো স্মৃতি সম্মাননা পদক’ তুলে দিচ্ছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ছবি: নাসরিন আকতার

দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকারকর্মী কমলা ভাসিন প্রবর্তিত ‘মিতো স্মৃতি সম্মাননা পদক’ পেয়েছেন সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গজয়ী ওয়াসফিয়া নাজরীন। নারীমুক্তি ও মানবাধিকারে বিশেষ অর্জনের জন্য তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তাঁকে এ সম্মাননা পদকটি তুলে দেন।

‘শান্তি, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার’ বিষয়ক দক্ষিণ এশীয় নারী দিবস উপলক্ষে ‘উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি’র বিপ্লব (ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং রিভলিউশন) ও সাংগাত (সাউথ এশিয়ান ফেমিনিস্ট নেটওয়ার্ক)-এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওয়াসফিয়া নাজরীনরেক এ সম্মাননা দেওয়া হয়। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন সাঁওতাল নিপীড়নের মতো ঘটনাগুলো ঘটবে না, যখন রামুর বৌদ্ধ বা নাসিরনগরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘর-বাড়ি পোড়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটবে না, যখন লিঙ্গ-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে নিজেদের স্বাধীন জায়গা থেকে মানুষ হিসেবে নিজেরা সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে সক্ষম হবো, তখনই মনে করব আমরা সত্যিকার অর্থে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি। তখনই আমার বা আমাদের অর্জনগুলোকে সত্যিকার অর্থে অর্জন মনে হবে।’

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার নারীমুক্তি আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন আয়োজক সংগঠনের বাংলাদেশের সমন্বয়ক মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবির ও ফওজিয়া খন্দকার ইভা। তাঁরা বলেন, আমাদের মানুষ পরিচয়টাই বড় হোক, নারী বা অন্য কোনো লৈঙ্গিক বা ধর্মীয় জাতিগত পরিচয় নয়।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন রাহুল আনন্দ, সেমন্তী, সভ্যতা এবং কবিতা আবৃত্তি করেন নাহিদ সুলতানা। কথোপকথন পর্বে অংশগ্রহণ করেন কর্মজীবী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দুই নারী ফারজানা ও মহিমা। অনুষ্ঠানের শেষে ওয়াসফিয়া নাজরীনের জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।