ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করছেন : তথ্য উপদেষ্টা

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করছেন।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত ‘সাংবাদিকদের মর্যাদা, শ্রম আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সভার উদ্বোধন করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। অন্য বক্তারা সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানান।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের যে দাবি উঠেছে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করছেন। যখন সরকার নতুন জাতীয় বেতনকাঠামো ঘোষণা করল, তখন সংবাদপত্রের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়টি যৌক্তিকভাবে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সাংবাদিকেরা যদি এক থাকতে পারেন, তাহলে এ দাবি পূরণ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান না। গণমাধ্যমের বিকাশকে উন্মুক্ত করার জন্য কতগুলো নীতিমালা প্রণীত হতে যাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪ সালে প্রণীত ‘নিউজ পেপার এমপ্লয়িজ সার্ভিসেস অ্যান্ড কন্ডিশন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাতিল করে দিয়েছিল। তা পুনর্বহাল করার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে বিভক্তির কারণে রাষ্ট্রের কাছে সাংবাদিক হত্যার বিচার পাচ্ছি না। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আন্দোলনের একপর্যায়ে যখন একসঙ্গে হওয়ার জন্য খসড়া তৈরি করেছিলাম, তখন প্রতিপক্ষের কোনো কোনো সাংবাদিক আসেননি। ফলে পরে আর একসঙ্গে হওয়া যায়নি।’
সভার উদ্বোধন করে উপাচার্য অনুপম সেন বলেন, পাকিস্তান শাসন আমল থেকে এ দেশের সাংবাদিকেরা অসাধারণ সংগ্রাম করেছেন, যা এখনো অব্যাহত আছে। পাকিস্তান আমলে দীর্ঘ সময় সামরিক ও ছদ্ম সামরিক শাসন জারি ছিল। ওই সময় সাংবাদিকেরা মানুষের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন করেছিলেন। এ জন্য তাঁদের অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল।
সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন রূপালী ব্যাংকের পরিচালক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন ও এম নাসিরুল হক, ইউনিট প্রতিনিধি সমীর কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।