কক্সবাজারে হোটেলকক্ষ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সৈকতের কলাতলী এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।


পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর ব্যাগ থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হোটেলকক্ষের ভাড়াটিয়া মোতাহার হোসেনকে আটক করেছে। লকডাউন এবং করোনা সংক্রমণরোধে ১ এপ্রিল থেকে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের সমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক না থাকায় পরের দিন থেকে সৈকত এলাকার পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে।


হোটেলকক্ষে তরুণীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র ধর প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীকে নিয়ে সি-পার্ল-১ নামের হোটেলের পঞ্চম তলার ডি-১ কক্ষে ওঠেন এক তরুণ। কক্ষটির ভাড়াটিয়া মালিক মোতাহের হোসেন। শুক্রবার দুপুরে ওই কক্ষের ভেতর কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষের দরজা খোলেন হোটেলের কর্মচারীরা। এ সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের মেঝেতে পড়া অবস্থায় তরুণীর মরদেহ দেখতে পায়। তরুণীর গলায় চাদর মোড়ানো। ঘটনার পর থেকে তরুণ পলাতক।


কক্সবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র ধর বলেন, গ্রেপ্তার এবং তদন্তের স্বার্থে ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে ওই হোটেলকক্ষের ভাড়াটিয়া মালিক মোতাহেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোতাহের পুলিশকে জানিয়েছেন, পলাতক তরুণ তাঁর পূর্বপরিচিত ছিলেন। কিন্তু কী কারণে তরুণী মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না।


ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলার আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের পৃথক দুটি দল সিআইডি ও পিবিআই। পুলিশের সন্দেহ, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় ধর্ষণের পর তরুণীকে কক্ষের ভেতর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। এরপর গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


এ প্রসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র ধর বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তরুণীর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলেই বলা যাবে, এটা আত্মহত্যা নাকি ধর্ষণের পর হত্যা।