কমলগঞ্জে সন্তানদের নাশতা দিয়ে বের হওয়ার পর বিধবা নারীর লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক রাবার বাগান থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে ছেলেদের নাশতা দেওয়ার পর ‘আসছি’ বলে বের হন তিনি। এর আধা ঘণ্টা পরে মাধবপুর ইউনিয়নের পদ্মছড়া চা বাগানের রাবার বাগানে লাশটি পাওয়া যায়।

ওই নারীর নাম সেলিনা আক্তার। তিনি মাধবপুর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মনু মিয়ার স্ত্রী। তাঁর তিন ছেলেসন্তান আছে।

পদ্মছড়া চা বাগান ও কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মছড়া চা বাগানের রাবার বাগানে গাছ থেকে তরল রাবার সংগ্রহ করতে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বাগানের একটি গাছের ডালে নারীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। তাঁরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চা বাগান কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। তাঁদের মাধ্যমে খবর পা কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ। দুপুরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা লাশটি গাছ থেকে নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশটি থানায় নিয়ে যায়।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল আহাদ বলেন, কয়েক বছর আগে সেলিনা আক্তারের স্বামী মারা যান। ওই নারীর তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। তা ছাড়া ওই নারীর রাবার গাছে উঠতে পারার কথা নয়। সঠিকভাবে তদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

মাধবপুর ইউপির চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার বলেন, সেলিনা আক্তারের বড় ছেলের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। সে বলেছে, সকাল ৭টার দিকে মা সেলিনা তাদের তিন ভাইকে নাশতা দেন। এরপর ‘বাইরে থেকে আসছি’ বলে তিনি ঘর থেকে বের হন। ওই ঘটনার আধা ঘণ্টা পরই রাবার বাগানের গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। কীভাবে এ ঘটনাটি ঘটল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ, ওই নারীর বাড়ি থেকে রাবার বাগানটা কিছুটা দূরে অবস্থিত।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আপাতত থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।