করোনা ইস্যুতে আইএলওর বৈশ্বিক প্রস্তাবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ

জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক শ্রমবাজারের ওপর সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাব থেকে দ্রুত উত্তরণের লক্ষ্যে এবারের আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে একটি বৈশ্বিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবনায় মহামারি পরবর্তী একটি টেকসই, গণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। এ দলিলটি শ্রম সম্মেলনের কোভিড সংক্রান্ত কারিগরি কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হয়।

জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওই কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া একই সময়ে কমিটিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বয়কের ভূমিকাও পালন করে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের মহামারি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তা মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা তুলে ধরে।

আইএলওতে গৃহীত ওই প্রস্তাবে করোনাভাইরাসের মহামারিতে শ্রমিক শ্রেণি, বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে তাদের কোভিড-১৯ টিকা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) প্রাপ্যতা এবং যথাযথ বেতন ভাতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ব শ্রম বাজার ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের জন্য সময়মতো ও সাশ্রয়ী করোনার টিকার ন্যায়সংগত প্রাপ্যতার প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর প্রতিকূল প্রভাবে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ এবং শ্রম বাজারে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোকে যথাযথ সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। মহামারিকালে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে নারী, বৃদ্ধ ও অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কর্মপন্থা প্রণয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের ওপর আলোকপাত করা হয়।