করোনাকালে কৃষিকে পথ দেখাল তথ্যপ্রযুক্তি

হাওরের ধানকাটা থেকে শুরু করে আম-কাঁঠাল বা কোরবানির পশু বেচাকেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

হাতে–কলমে কৃষিকাজ শিখতে একত্র হয়েছিলেন কিছু তরুণ উদ্যোক্তা। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদরে
ছবি: সংগৃহীত

নতুন ধরনের আধুনিক কৃষির সঙ্গে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে কৃষি বায়োস্কোপ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন তালহা জুবায়ের মাসরুর। তিনি চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। তাঁর অনলাইন কৃষি চ্যানেলে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার লোক গ্রাহক হয়েছেন। সেখানে দেওয়া ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটিবার।

কৃষি উদ্যোক্তাদের হাতে-কলমে কৃষিকাজ শেখাতে ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর। সারা দেশ থেকে নিজের খরচে সেখানে ৭০ জন উদ্যোক্তা হাজির হন। করোনার সংক্রমণের সময়েও এই উদ্যোগের সফলতা মাসরুরকে উৎসাহী করেছে।

মাসরুর জানান, নতুন ধরনের ফসল ও ফলের চাষাবাদ কৌশলের পাশাপাশি তিনি কৃষিপ্রযুক্তিকে তাঁর কৃষি বায়োস্কোপ চ্যানেলের মাধ্যমে তুলে ধরতেন। গ্রাহকদের অনুরোধে ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎসাহে তিনি কর্মশালার আয়োজন করেন।

শুধু এই তরুণ কৃষিবিদের উদ্যোগই নয়, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের কৃষির প্রতিটি খাতে তথ্যপ্রযুক্তি আশীর্বাদ হয়ে হাজির হয়েছে। হাওরের ধানকাটা থেকে শুরু করে পেকে যাওয়া আম-কাঁঠাল বা কোরবানির গরু-ছাগল হাটে না নিয়ে বেচাকেনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফলতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও অনেক কাজ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কৃষি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির যেসব নানাবিধ ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা বাংলাদেশেও ব্যবহার করতে হবে। এবার বাংলাদেশে মূলত কৃষি উপকরণ সংগ্রহ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশ কাটিয়ে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রিতে প্রযুক্তি কাজে লেগেছে। কিন্তু কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো, পঙ্গপাল ও ‘ফল আর্মিওয়ার্ম’–এর মতো নিত্যনতুন পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টির আগাম খবর কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও এগোতে হবে।

বোরো পাকল আর করোনা এল

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর সময়টাতে মাঠে ছিল বোরো ধান। ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে রোগটিও মার্চ থেকে এপ্রিলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ধান পাকার পর তাই হাওরে দেখা দেয় শ্রমিকের সংকট। একদিকে উজান থেকে আসা আগাম বন্যার ভয় আর অন্যদিকে শ্রমিকের অভাবে মাঠের পাকা ধান কাটতে পারা নিয়ে সংশয়—এই যখন অবস্থা, তখন কৃষকের সবচেয়ে বড় সহায় ছিল ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে উত্তরাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম—সব জায়গা থেকে শ্রমিক এসে হাওরে হাজির হন। বন্যা আসার আগেই কাটা হলো সব ধান।

আমরা দেশের কৃষি উৎপাদনে শুরু থেকেই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এবার এর সঙ্গে ধানকাটার ক্ষেত্রে উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়েছি। সামনে তা আরও বাড়ানো হবে
আব্দুর রাজ্জাক, কৃষিমন্ত্রী

ধানকাটা শেষে জ্যৈষ্ঠের মিষ্টি ফল নিয়ে কৃষকের বিপদ বাড়তে থাকে। আম, কাঁঠাল, লিচু ও তরমুজের মতো দ্রুত পচনশীল ফল বাগান থেকে পেড়ে দ্রুত শহরে নিতে হবে। হাটে-বাজারে পৌঁছাতে হবে, না হলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে—এই ভয়ে দেশের চাষিরা যখন দুশ্চিন্তায়, তখনো অনলাইন দোকান ও বাজারে এসব ফল বিক্রির আয়োজন হয়। সাড়াও পাওয়া যায় ভালো। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ফ্রুটস ফর দ্য কান্ট্রি নামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে ফল বিক্রি হয় ওই সময়।

এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দেশের কৃষি উৎপাদনে শুরু থেকেই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এবার এর সঙ্গে ধানকাটার ক্ষেত্রে উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়েছি। সামনে তা আরও বাড়ানো হবে।’

অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রিতে বিপ্লব

জুলাই মাস থেকে শুরু হয় দেশের গ্রামীণ জনপদের অন্যতম অর্থকরী সম্পদ গবাদিপশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা। একদিকে বন্যায় নতুন নতুন জেলা প্লাবিত হওয়া, অন্যদিকে সারা বছর ধরে লালন-পালন করা গরু–ছাগল করোনার কারণে কোরবানির হাটে তোলা বা বিক্রি করা যাবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল। তখনো কৃষকের সহায় ছিল তথ্যপ্রযুক্তি। গত কোরবানির হাটে বিপুল পরিমাণ গরু–ছাগল বিক্রি হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। সরকার থেকে তৈরি করা ডিজিটাল হাট তো ছিলই, সেই সঙ্গে ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ কাজে লাগিয়ে গ্রামপর্যায়ে কৃষক গরু-ছাগল বিক্রি করেছেন। হাটের সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকার বিড়ম্বনা কাটিয়ে খামারের গবাদিপশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দেখে অনেকে পছন্দ করেছেন। পরে খামারে গিয়ে দরদাম করে গরু-ছাগল কিনেছেন।

গত ঈদে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মাত্র ছয় হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছিল। এ বছর তা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে। গবাদিপশুর দাম পরিশোধের ক্ষেত্রেও বিকাশ, নগদের মতো অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

এ ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার এই সময়ে গবাদিপশু বিক্রিতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের যে অভিজ্ঞতা পেলাম, তা আগামী দিনে আরও ব্যাপক ও বিস্তৃতভাবে কাজে লাগানো হবে।’

মধ্যস্বত্বভোগী কমেছে

গত ১৯ আগস্ট করোনাকালে বাংলাদেশের কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। তাতে বলা হয়, এপ্রিল থেকে আগস্ট করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়নি। ওই সময়ে কৃষক কৃষি দপ্তরগুলোতে গিয়ে তথ্যসেবা খুব বেশি নিতে পারেননি। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষক, শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন বেড়েছে। বিশেষ করে মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশ কাটিয়ে উৎপাদন ও ভোক্তাদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র ৮ জেলায় স্থাপন করা ৫৭টি ভার্চ্যুয়াল কল সেন্টারে শুধু আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৩০ হাজার ছোট ও মাঝারি চাষি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়েছেন। তাঁরা দেশের প্রতিষ্ঠিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির কাছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার পণ্য সরাসরি বিক্রি করেছেন। আর ওই পণ্যের মূল্য নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা ৫৯ লাখ টাকার কৃষি উপকরণও কিনেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, চলমান কোভিডের অতিমারির কারণে দেশের কৃষিসহ সব খাতের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। কোভিডের এই ধাক্কা যাতে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের গায়ে কম লাগে, তার জন্য শুরুতেই বিশেষ পাঁচটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জন্যে ক্যাশআউট চার্জ এক–তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, ‘এর বাইরে কোরবানির সময় অনলাইনে গরু-ছাগল কেনাবেচার লেনদেনেও আমরা অংশ নেই। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসে যখন চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়, তখন ডাক বিভাগের সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পণ্য এনে ঢাকায় বড় বড় বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করি।’

  • বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র আটটি জেলায় স্থাপন করা ৫৭টি ভার্চু্যয়াল কলসেন্টারে শুধু আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৩০ হাজার ছোট ও মাঝারি চাষি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়েছেন।

  • কৃষকেরা দেশের প্রতিষ্ঠিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির কাছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার পণ্য সরাসরি বিক্রি করেছেন। আর ওই পণ্যের মূল্য নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা ৫৯ লাখ টাকার কৃষি উপকরণও কিনেছেন।

  • মৌসুমি ফল, কোরবানির সময় গবাদিপশু বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছিল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। ওই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রায় এক লাখ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে।

  • সারা দেশে স্থাপন করা ১৬০০ ডিজিটাল কৃষিসেবা কেন্দ্রে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি কৃষক করোনাকালে সেবা নিয়েছেন।

অভিজ্ঞতা হলো, কাজে লাগাতে হবে

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব ইউনিয়নে যে সাড়ে ৪ হাজার ডিজিটাল তথ্যকেন্দ্র আছে, তার মধ্যে ১ হাজার ৬০০টিতে কৃষি তথ্যসেবার ব্যবস্থা আছে। সাধারণত একেকটি কেন্দ্রে দিনে ২০০ থেকে ৫০০ কৃষক সেবা নিতেন। করোনার সময়ে কৃষকদের এসব কেন্দ্র থেকে সেবা নেওয়ার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি তথ্যবিষয়ক একটি হটলাইন নম্বর আছে। সেখানে করোনার আগের দিন পর্যন্ত দেড় থেকে দুই হাজার টেলিফোন আসত। কিন্তু মে মাসে তা বেড়ে প্রায় তিন হাজার হয়ে যায়। প্রতিদিনই কল সেন্টারে প্রশ্ন করার পরিমাণ বাড়ছে বলে সেন্টারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক এটুআই প্রকল্পের উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কৃষকদের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে এগোতে হতো। এখন আমরা করোনাকালে পরিস্থিতির বিশ্লেষণ, যথার্থ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও তার বাস্তবায়ন একই সঙ্গে করেছি। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, আমরা সফলভাবেই করতে পেরেছি। সামনের দিনে ডিজিটাল ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কৃষিকে রূপান্তরের পথে এটি একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

দুর্যোগে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

কৃষিতে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন এমন গবেষকেরা বলছেন, মুঠোফোন ও তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষকের হাতে হাতে দুর্যোগ–সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে। এতে ফসল উৎপাদন মার খাচ্ছে। তাই দুর্যোগ–সংক্রান্ত আগাম তথ্য দিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বিত তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে। আর তা কৃষকের মুঠোফোনে পৌঁছে দিতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, দেশে মুঠোফোন সংযোগের সংখ্যা ১৬ কোটি ৫৫ লাখ। গত বছর নতুন করে ৮০ লাখ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে দেশের প্রায় শতভাগ মানুষের মুঠোফোনের সংযোগ আছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৯৪ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৩৪ লাখ। পরিবারপ্রতি হিসাব ধরলে দেশের বেশির ভাগ মানুষই ইন্টারনেটের সুবিধার আওতায় আছে।

তথ্যপ্রযুক্তি ও দুর্যোগবিষয়ক গবেষক এবং জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এম নাদিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বন্যার আগাম তথ্য ভারতের কাছ থেকে পাই। এটি একটি ভালো দিক। কিন্তু ওই তথ্যের ব্যবহার মাঠপর্যায়ে কৃষকের কাছে সহজ করে পৌঁছে দিতে হবে। তা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে থাকা কৃষির উন্নয়নকে টেকসই করা যাবে না।’