করোনাকালে চিকিৎসাবিজ্ঞান আরও এগিয়েছে

বই দুটি প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের ফেসবুক পেজ বিডি ফিজিশিয়ান। সার্বিক সহযোগিতা করেছে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।

বিডি ফিজিশিয়ান আয়োজিত ও এসকেএফের সহযোগিতায় দুটি মেডিকেল একাডেমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। বাঁ থেকে ডা. এহসান খান, অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসান, অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমান, অধ্যাপক সোহাইলুল ইসলাম ও অধ্যাপক দীলিপ কুমার রায়। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয়
ছবি: প্রথম আলো

মেডিকেল একাডেমিক শিক্ষার ওপর লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা কয়েকজন চিকিৎসক বলেছেন, করোনাকালে সারা পৃথিবীতে জীবন ও অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান থেমে থাকেনি, আরও এগিয়ে গেছে। দেশের চিকিৎসকেরাও বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে মেডিকেলের একাডেমিক শিক্ষার ওপর লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

প্রকাশিত বই দুটির একটি হলো ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিজিজ। লিখেছেন দেশের খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসান। অন্য বইটি হলো ম্যানেজমেন্ট অব রিউমাটয়েড আরথাইটিস, অস্টিও-আরথাইটিস, গাউট, এসএলই। লিখেছেন সৈয়দ আতিকুল হক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিউমাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি এশিয়া প্যাসিফিক লিগ অব অ্যাসোসিয়েশনস অব রিউমাটোলজির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

করোনাকালে আমাদের চিকিৎসকেরা বসে থাকেননি। তাঁরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা করেছেন। এই প্রকাশনা তারই উদাহরণ।
দীলিপ কুমার রায়, অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি

বই দুটি প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের ফেসবুক পেজ বিডি ফিজিসিয়ান। সার্বিক সহযোগিতা করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজির সাবেক অধ্যাপক দীলিপ কুমার রায় বলেন, ‘করোনাকালে আমাদের চিকিৎসকেরা বসে থাকেননি। তাঁরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা করেছেন। এই প্রকাশনা তারই উদাহরণ।’

সৈয়দ আতিকুল হকের লেখা বইটি নিয়ে আলোচনা করেন এইচ এ এম নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, সৈয়দ আতিকুল হক যা লিখেছেন, তা বাতরোগের চিকিৎসা ও শিক্ষায় অবদান রাখবে।

সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, জ্ঞানচর্চার সুযোগ আগে কম ছিল। কিন্তু এখন সুযোগ বেড়েছে। তাই চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি একাডেমিক জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমান বলেন, চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠের উপযোগী করে এই বই দুটি লেখা হয়েছে। একাডেমিক শিক্ষায়, বিশেষ করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানে জ্ঞানচর্চা ও বই প্রকাশের সঙ্গে থাকতে পেরে বিডি ফিজিসিয়ানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এসকেএফের এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার বিনয় দাস ও হেড অব মার্কেটিং ডা. মিজানুর রহমান।

ফেসবুকভিত্তিক পেজ বিডি ফিজিশিয়ানের এডমিন ডা. এহসান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সোহাইলুল ইসলাম, অধ্যাপক

শাহজাদা সেলিম ও ডা. সামি আল আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।