করোনাকালে সৃজনশীল কাজে বিজয়ী যাঁরা

সুমাইয়া ইসলাম: গল্প লেখায় প্রথম, হুমায়রা আদিবা: চিত্রাঙ্কনে প্রথম, ফয়সাল ইফরান: ভিডিওগ্রাফিতে প্রথম, মোহাম্মাদ নাহিদ আজিজ: ফটোগ্রাফিতে প্রথম

করোনা মহামারির সময় তরুণেরা নানাভাবে চাপে আছেন। এ সময় তাঁরা যেন ছবি তুলে, গল্প লিখে, ছবি এঁকে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাতে পারেন, সে চেষ্টা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তরুণদের নতুন সামাজিক নিয়মে অভ্যস্ত করতে বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হয় জনস হপকিনস সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস।

গত ৭ আগস্ট বিশ্ব মাস্ক সপ্তাহের শুরুর দিনে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এই যৌথ কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভের মাধ্যমে চারটি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সচেতনতামূলক ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং জীবনযাপনের দক্ষতা অর্জনের এ কর্মসূচির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। কর্মসূচিতে অর্থসহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ব্রেকথ্রু অ্যাকশন প্রকল্প।

গতকালের অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার উপদেষ্টা কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, করোনার এই নতুন স্বাভাবিক (নিউ নরমাল) সময়ে তরুণেরা ছবি তুলেছেন, গল্প লিখেছেন। বন্ধুসভার উদ্যোগের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। এ ধরনের আয়োজনে তরুণদের উপকার হবে।

বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশিদ বলেন, জনস হপকিনসের সঙ্গে যৌথ এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছেন বন্ধুরা। তিনি জানান, অক্টোবর থেকে যৌথ এই কর্মকাণ্ডের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। পরের ধাপে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

‘করোনার দিনগুলি’ শিরোনামে গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন সুমাইয়া ইসলাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে আসিফ ওয়াহিদ ও নুসরাত সাদিয়া। বিচারক হিসেবে ছিলেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।

‘করোনাকালে চারপাশ’ শিরোনামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন হুমায়রা আদিবা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে নওবা তাহিয়া হোসেন ও সামিয়া সীমা। বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান।

‘করোনাকালে যাপিত জীবন ও প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ’ শিরোনামে ভিডিওগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন ফয়সাল ইফরান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে শেখ তোজা ফাহমিদা ও এম এম এ আই জুয়েল। বিচারক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামিল খান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বরকত উল্লাহ।

‘করোনাকালের দিনরাত্রি’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন মোহাম্মাদ নাহিদ আজিজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন ফারজানা জাহান ও জান্নাতুল ফেরদৌস। বিচারক হিসেবে ছিলেন আলোকচিত্রী প্রীত রেজা ও সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির সাবেক সাংবাদিক ইমশিয়াত শরিফ।

প্রথম ধাপের কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের অর্থ ও তহবিলবিষয়ক সম্পাদক জাফর সাদিক। তিনি বলেন, করোনার নিউ নরমাল সময়ে অনলাইনেও যে অফলাইনের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, এর প্রমাণ বন্ধুসভা ও জনস হপকিনসের এই কর্মসূচি।

বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার মৌসুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সোলায়মান কবির, মোহতারিমা রহমান, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সৈকত বরণ শীল।