করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে
ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৪৭০ জন শনাক্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।


আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই সময়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৪১০ জনের।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪২৪ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৮ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।


২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।


দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। এখনো সংক্রমণ নিম্নমুখী।


করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে।