কলেরার টিকার পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মে মাসে কলেরার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেসব এলাকায় কলেরার টিকা দেওয়া হবে। সামনে এ টিকার পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি পরীক্ষার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি কলেরার টিকা নিয়েও কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে গত মার্চ থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকাতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) কলেরা হাসপাতালে দৈনিক গড়ে হাজারের বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ১৩ এপ্রিল রাজধানীর পাঁচ স্থানে কলেরার টিকা দেওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্থানগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ। ২৩ লাখ মানুষকে দুই ডোজ করে কলেরার টিকা দেওয়া হবে বলে সে সময় জানানো হয়।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কলেরার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কলেরার টিকার ঘোষণা দেওয়ার পর ঢাকার অন্য এলাকাসহ জেলা পর্যায়েও এ টিকা দেওয়ার কথা ওঠে। কিন্তু অধিদপ্তর জানায়, টিকার স্বল্পতা আছে। তাই আপাতত উল্লিখিত পাঁচ এলাকার বাইরে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আজ অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ টিকার পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বললেন।

জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সময় কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিকভাবে ফিরছে সবকিছু। যাঁরা এখনো করোনার টিকা নেননি, তাঁদের সবাইকে এ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতিমারিকালে আমরা একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি, অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যাতে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য কাজ করেছি। আজকের পরীক্ষাটিও সুশৃঙ্খলভাবে নেওয়াসহ পরীক্ষায় কোনো রকম অনিয়ম যাতে না হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এ বছর প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।’

পরীক্ষা-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এবারের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯০৭। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই রয়েছেন ৩১ হাজার ৩৫ জন।

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক এনায়েত হোসেনসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।