রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং গ্রামীণ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে সিটি হলরুমে গতকাল সোমবার ‘স্লটার হাউস কাম বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট’বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, নগরের স্লটার হাউস বা কসাইখানা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন হতে পারে। মাছের খাবার তৈরি হতে পারে। এই পরিকল্পনা থেকে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটিজ-এর সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা জেবিননিছা সুলতানা, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আহম্মেদ, সিটি করপোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুস্তাক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এস এম মোতাকাব্বিরুল হক, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক মহির উদ্দিন, গ্রামীণ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের এসইডি প্রোগ্রামের প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষক জালাল উদ্দিন সরদার। এতে বলা হয়, কসাইখানার বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস ও মাছের খাবার তৈরি হতে পারে। এতে করে নগরের পরিবেশও সুন্দর থাকবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন রাজশাহী মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান, পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির পরিচালক সেকেন্দার আলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রামীণ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের এসইডি প্রোগ্রামের অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক আল মুদাব্বির বিন আনাম।