কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান সেলিম

ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান র‌্যাবের সদস্যরা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সাজা হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম তাঁর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে গেলে এ সংক্রান্ত চিঠি জারি করা হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধির সাজা হলে আইন অনুযায়ী প্রথমে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাঁকে (ইরফান) সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


সোমবার দুপুরে চকবাজারে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। র‍্যাব জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় সাংসদ বাসায় ছিলেন না। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রেপ্তার দুজনকে নিয়ে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান অভিযানে অংশ নেওয়া র‍্যাবের সদস্যরা।
নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসনে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ার কথা লিখেছিলেন ইরফান। প্রায় ২৯ বছর বয়সী ইরফান বাবার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালক। ফেব্রুয়ারির সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হলফনামায় ইরফান তাঁর কাছে নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং শেয়ার ও বন্ডে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা লিখেছিলেন।