কাজী শহিদের আসন শূন্য চেয়ে রিট চূড়ান্ত শুনানির কার্যতালিকায়

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা চেয়ে করা রিট আবেদন চূড়ান্ত শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) এই সাংসদের আসন শূন্য ঘোষণা চেয়ে ওই রিট করা হয়।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববারের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় রিটটি শুনানির জন্য ২৩৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

সাংসদ কাজী শহিদ কুয়েতে বন্দী। ঘুষ লেনদেনের দায়ে কুয়েতের আদালত তাঁকে গত বৃহস্পতিবার চার বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, বিষয়টি এখন আলোচনায়।

হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাজী শহিদের আসনটি শূন্য ঘোষণা চেয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। আদালতে তখন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আওসাফুর রহমান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন।

সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল
ফাইল ছবি

আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, কাজী শহিদের আসনটি কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, সাংসদ কাজী শহিদসহ ছয় বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিবাদীদের পক্ষ থেকে রুলের জবাব হাতে আসেনি। রুল শুনানির জন্য রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় রয়েছে। চূড়ান্ত শুনানির জন্য রিটটি আদালতের কার্যতালিকার প্রথম দিকে রাখার জন্য রোববার ওই বেঞ্চে আরজি জানানো হবে।

রিটের ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় কাজী শহিদ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করেন। অথচ জমা দেন স্নাতক পাসের সনদ। সিয়েরা লিয়নের মিলটন মরগাই কলেজ অব এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনমিকস বিষয়ে স্নাতক সনদ দেওয়া হয়। যে বিষয়ের ওপর স্নাতক সনদের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে সে বিষয়ের কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই। এমনকি স্নাতকোত্তর কোনো সনদ দেননি নির্বাচনী হলফনামায়।