কাজে আসছে না সেতুটি

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার শ্মশানটিলা-অংলাপাড়া সড়কের কালা মিয়ার বাগানের শেষ প্রান্তে নির্মিত সেতুটি মানুষের কাজে আসছে না। সেতুর এক পাশের সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন অংশ ভেঙে ওই গ্রামীণ সড়কের অবস্থা শোচনীয়। সড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি ছড়ার ভাঙনে কোথাও কোথাও সড়ক প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। হেঁটে যেতেও অসুবিধা হয়।
জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে।
রামগড় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াদ হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারছে না। তিনি বলেন, সড়ক সম্প্রসারণ করে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছু ব্যক্তির নেতিবাচক মনোভাবের কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। কেউ এক ইঞ্চি জমি ছাড় দিতেও রাজি নন।
পিআইও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে মেরামতের তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু জমির মালিকদের অনমনীয় মনোভাবের কারণে কিছু করা যাচ্ছে না।
অংলাপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত বর্ষায় ছড়ার পানি বেড়ে সড়কের ক্ষতি হয়। আলী আহমঞ্চদের খামার থেকে সেতু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার কয়েক স্থানের মাটি ধসে পড়ে।
রামগড় ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা পেলে সড়ক আরও আগেই সংস্কার করা সম্ভব হতো। তিনি জানান, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হবে।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রত্যন্ত জনপদে যোগাযোগের জন্য সড়কটি খুবই জরুরি। সড়ক সংস্কারের জন্য দ্রুত ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইওকে প্রকল্প নিতে বলেছি।’