কাদের মোল্লা ন্যায়বিচার পাননি: আইনজীবী

আবদুর রাজ্জাক
আবদুর রাজ্জাক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে তিনি ন্যায়বিচার পাননি বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর দুই আইনজীবী।
আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরের প্রাঙ্গণে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, দেশে যেখানে আইনের শাসন কায়েম আছে, সেখানে এ ধরনের রায় দিয়ে কাদের মোল্লার ওপর ন্যায়বিচার করা হয়নি। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের আর কিছু বলার নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রায় না পাব এবং রায় না পেয়ে কারা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেবে না, এটাই সাধারণ নিয়ম, সাধারণ আইন।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করি, যেহেতু এটি মৃত্যুদণ্ড, কাজেই এ ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ  রায় না পেয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘কাদের মোল্লা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একজন সাক্ষীর ওপর নির্ভর করে (যে সাক্ষী তিন জায়গায় তিন ধরনের কথা বলেছেন) মৃত্যুদণ্ড প্রদান আইনের শাসনের পরিপন্থী। আমরা মনে করি, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর সরকার যা কিছু করতে চায়, আইন ও কারাবিধি মেনেই তা করবে।’

কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ক্ষমাপ্রার্থনা বিষয়ে বলেছেন, ‘ক্ষমতা প্রার্থনার কথা তিনি ডিনাই (প্রত্যাখ্যান) করেননি। আমরা আজকে আদালতে বলেছি, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার জন্য তাঁর হাতে সময় আছে। আগেও বলেছি, প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, এ বিষয়ে ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আমাদের সঙ্গে বসে তিনি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই সময় এখনো আছে বলে আমরা মনে করছি।’

জেল কোডে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সাত দিনের বিধান আছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আইনে ১৫ দিনের বিধান আছে। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বলেন নাই যে আমরা কেন নতুন আইন দেখাচ্ছি। নতুন আইন এলে পুরাতন আইন বাতিল হয়ে যায়। তখন নতুন আইনই বাস্তবায়ন হয়, পুরাতন হতে পারে না।’